কক্সবাজার ও বান্দরবানের সঙ্গে এখনো সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ

বৃষ্টির কারণে সড়ক পরিবহনে সমস্যা
গতকাল বিকেলে ছবিটি তুলেছেন রাজিব রায়হান/স্টার

ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ এখনো পানির নিচে ডুবে থাকায় দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা। গত ৭ দিনের টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে মহাসড়কের অন্তত ৪টি পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার থেকে বান্দরবান এবং গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে কক্সবাজারের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় মহাসড়কে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

বাঁশখালী-আনাওয়ারা বিকল্প সড়কের একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে বেশ কিছু বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের (দক্ষিণ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চন্দনাইশের হাসিমপুর, সাতকানিয়ার কেরাণীরহাট ও চকরিয়ায় মহাসড়কের কিছু অংশ এখনো পানির নিচে থাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, 'পানি কমতে শুরু করেছে, আমরা আশা করছি যদি আবা কোনো বৃষ্টি না হয় তাহলে সন্ধ্যার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার চৌধুরী বলেন, ধীর গতিতে পানি কমছে, তাই মহাসড়কটি এখনো পানির নিচে রয়েছে।

কেরাণীরহাটের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ জানান, দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও কেরানিরহাট-বান্দরবান সড়ক হাঁটু পর্যন্ত পানিতে ডুবে ছিল। 

বন্যার পানিতে তাদের অনেক পার্সেল নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজার বাস কাউন্টার মালিক-ম্যানেজার সমিতির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঁশখালী হয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো আনোয়ারায় একটি সেতুর সামনে আটকা পড়ে।'

তিনি বলেন, সেতুটি পানির চাপে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণে স্থানীয়রা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Rampal fouling 2 Sundarbans rivers

The Rampal power plant began operation in late 2022 without an effluent treatment plant and has since been discharging untreated waste into the Pasur and Maidara rivers next to the Sundarbans.

4h ago