নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনাই দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন: আইনমন্ত্রী

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: স্টার

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় সেখানে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, 'আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনকালীন সময়ে শেখ হাসিনাই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। এসময় দেশে অরাজকতা সৃষ্টির যেকোনো অপচেষ্টা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে।'

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আইনমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করার জন্য রাজনীতি করে আর শেখ হাসিনা জনগণ ও দেশের স্বার্থ, কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন।' 

এর আগে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের এই সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকায় আরও ৪টি জনসভায় বক্তৃতা করেন। এসব জনসভায় তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।

তিনি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আখাউড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

আখাউড়া রেলস্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত অপর এক সভায় আইনমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত। তারা কখনো সত্যের ধারে-কাছেও হাঁটে না, এমনকি খুন করার পর অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে দেয়। আমি অন্তত ৫টি উদাহরণ দিতে পারি।'

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণকে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।'

আনিসুল হক আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের জন্য সরকার আইনের খসড়া তৈরি করেছে। আপনারা (জনগণ) সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করলে আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রতিশোধের জন্য নয়, ইতিহাসের সত্য উদঘাটনের জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

8h ago