সামনের রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্য ইউনূস-তারেক বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, 'এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের সামনের রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্য।'
বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, 'আপনারা জানেন, নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়েছে—এপ্রিলে। এই মিটিংয়ে আসলে কি এজেন্ডা এটা না, তারা যে মিটিং করছেন এবং এই মিটিংয়ে তারা সব কিছুই আলোচনা করবেন।'
'একজন বাংলাদেশের ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের প্রধান এবং আরেকজন হচ্ছেন বাংলাদেশের লার্জেস্ট পলিটিক্যাল পার্টির (সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল) প্রধান। তাদের দুজনের ভেতরে আলোচনা হবে এবং তারা সব কিছু নিয়েই আলোচনা করবেন,' বলেন তিনি।
প্রেস সচিব জানান, মিটিংয়ের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপির তরফ থেকে একজন অফিসিয়াল দেখা করেছেন এবং তার সঙ্গে কথাও হয়েছে।
'আমরা আশা করছি, কালকে ৯টার মধ্যেই ওনারা আসবেন। আসার পরে একটা ওয়ান টু ওয়ান মিটিং হবে। এই ক্ষেত্রে যদি উনারা মনে করেন আরও কেউ থাকবে, সেটা এই দুজন লিডারই এটা ডিসাইড করবেন (সিদ্ধান্ত নেবেন),' যোগ করেন তিনি।
এর আগে যুক্তরাজ্য সফর ও সেখানে বিভিন্ন বৈঠকের বিষয়ে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, 'আশা করি, এসব মিটিংয়ের ফল আমরা খুব দ্রুতই পাব। ব্রিটেন আমাদের পুরোনো বন্ধু। তাদের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক আছে। সেটাই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি গত কয়েক দিনে এই মিটিংগুলোতে।'
তিনি বলেন, 'এই মিটিংগুলোর একটা বড় ফোকাস হচ্ছে অ্যাসেট রিকোভারি। বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে গেছে। এটা অনেক দেশে গেছে। তার কিছু অংশ আমরা জানতে পেরেছি যে, যুক্তরাজ্যে এসেছে। যুক্তরাজ্যের যারা এগুলো নিয়ে কাজ করেন, তারা আমাদের সঙ্গে ভালো রকমের সমন্বয় করছেন। আমরাও আমাদের কেসগুলো তাদের কাছে তুলে ধরছি যে, দেখো, এই এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। সেটারই ফল আপনারা ইতোমধ্যে দেখছেন। গতকালও একটা নিউজ এসেছে, এর আগেও কয়েকটা নিউজ হয়েছে।'
অ্যাসেট রিকোভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, 'এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। বাংলাদেশের মানুষককে কীভাবে গরিব বানিয়ে কিছু কিছু লোক অত বড় বড় জায়গায় সুবিশাল প্রাসাদ কিনেছেন। কানাডায় বেগমপাড়াও হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি, আরও অনেকগুলো দেশে গেছে। তারই আলোকে অ্যাসেট রিকোভারি আমাদের একটি বড় কাজ। আমরা এগুলো করছি, যাতে টাকাগুলো ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কাজে লাগানো যায়।'
Comments