প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ফেসবুক পোস্ট: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষক সমিতির চিঠি

ফেসবুকে 'স্টেপ ডাউন হাসিনা' লিখে পোস্ট দেওয়া এবং সরকারের সমালোচনা করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক সমিতি এই চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামে বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি শিক্ষাছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রতে অবস্থান করছেন।

প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও এই চিঠি দেওয়ার ঘটনাকে অনেকে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন।

এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে 'প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে' ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাটহাজারি থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেছিলেন সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা। সেই মামলায় মাইদুল ইসলাম জেলও খেটেছেন।

এবার দেওয়া চিঠিতে আগের মামলার সবশেষ অবস্থা ও তার বিরুদ্ধে উপাচার্যের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে শিক্ষক সমিতি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সভায় সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় মাইদুল ইসলামকে নিয়ে। আজ রোববার ওই সভার আনুষ্ঠানিক বিবরণে শিক্ষক সমিতির প্যাডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট দেওয়াসহ সরকার প্রধান ও সরকারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের কুৎসা রটনা জন্য মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর জোর দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কাছে মনে হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে এ বিষয়ে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে । তাই শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা এটা করেছি।'

তবে না প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র শিক্ষক এই চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন।

তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt must not be allowed to fail: Tarique addresses BNP rally

Thousands join BNP rally from Nayapaltan to Manik Mia Avenue

2h ago