পরিসংখ্যানের আলোয় এশিয়া কাপ

এশিয়া কাপ
ফাইল ছবি

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল তৈরি হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে প্রথম আয়োজিত হয় এশিয়া কাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় সেবার অংশ নিয়েছিল কেবল তিন দল, পরের আসরেও অংশ নেয় তিন দল। ক্রমে পরিসর বড় হয়ে কদিন পর শুরু হতে যাওয়া এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেবে ছয়দল।

  • এখন পর্যন্ত হওয়া ১৫ আসরের মধ্যে সর্বোচ্চ সাতবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা জিতেছে ছয়বার, বাকি দুবার চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
     
  • এশিয়া কাপের ১৫ আসরের মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কাই অংশ নিয়েছে সবগুলো আসরে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অংশ নেয় ১৪ আসরে।
     
  • ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় আসর থেকে এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ। সেবার শ্রীলঙ্কায় হওয়া টুর্নামেন্টে অংশ নেয়নি ভারত। লঙ্কান বোর্ডের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক থাকায় শ্রীলঙ্কা সফর করেনি ভারত। ভারত অংশ না নেওয়ায় আরেকটি দল পূরণে আমন্ত্রণ জানানো হয় তখনকার সহযোগি সদস্য বাংলাদেশকে।
     
  • এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালে তৃতীয় আসর দিয়ে বাংলাদেশি এশিয়া কাপ আয়োজন শুরু। এরপর লম্বা বিরতি দিয়ে আবার ঢাকায় এশিয়া কাপ হয় ২০০০ সালে।  ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ সালে টানা তিন আসরের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। এছাড়া প্রথম আসরসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ হয়েছে চারবার।
     
  • এবারের আগে শ্রীলঙ্কাতেও এশিয়া কাপ হয়েছে চার বার। মজার কথা হলো এশিয়ার বড় দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানে এর আগে মাত্র একবার করে এশিয়া কাপ আয়োজিত হয়। এখন পর্যন্ত ১৯৯০ সালের আসরই কেবল হয়েছে ভারত। পাকিস্তানে হয় ২০০৮ সালের আসর। এবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় এশিয়া কাপ আয়োজন করছে পাকিস্তান। মূলত ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতায় দুই দেশে এশিয়া কাপ আয়োজন কঠিন হয়েছে সব সময়। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়ার অগ্রধিকারে থেকেছে আরব আমিরাত।
     
  • ভারত সবচেয়ে বেশি ট্রফি জিতলেও এশিয়া কাপ ওয়ানডের আসরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। তাদের জয় ৩৪টি, ভারত ম্যাচ জিতেছে ৩১টি। পাকিস্তান ২৬টি। বাংলাদেশের এশিয়া কাপে জয় ৭টি। আফগানিস্তানের তিনটি।
     
  • এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপ দুবার হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাথায় রেখে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে হওয়া আসরে প্রথম টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ হয়। তখন থেকে সিদ্ধান্ত হয় যে বছর যে সংস্করণের বিশ্বকাপ হবে, তার আগের এশিয়া কাপ হয় সেই সংস্করণে। সেভাবেই ২০২২ সালেও হয় টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপ। এবার সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকায় এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডে সংস্করণে। 
     
  • এশিয়া কাপ ওয়ানডে আসরে সবচেয়ে বেশি রান শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সুরিয়ার। ২৫ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ২২০ রান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও আরেক লঙ্কানের। ২৪ ম্যাচ খেলে কুমার সাঙ্গাকারা করেন ১ হাজার ৭৫ রান। ভারতের শচিন টেন্ডুলকার ২৩ ম্যাচ খেলে করেন ৯৭১ রান।
     
  • সর্বোচ্চ রানের মতো সবচেয়ে বেশি ৬ সেঞ্চুরিও জয়সুরিয়ার।
     
  • এশিয়া কাপ ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেটও একজন শ্রীলঙ্কানের। কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরণ ২৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩০ উইকেট। তার স্বদেশী লাসিথ মালিঙ্গা মাত্র ১৪ ম্যাচ খেলেই পান ২৯ উইকেট। এই তালিকায় ছয়ে আছেন একজন বাংলাদেশি। বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক এশিয়া কাপে ১৮ ম্যাচ খেলে নেন ২২ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

8h ago