অস্ত্র রেখে জাপা নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ
বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদিনকে অস্ত্রসহ আটকের সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ। পরে অস্ত্র রেখে বিকেল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বরিশাল কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'জনসমক্ষে প্রদর্শিত অস্ত্রটি রেখে আপাতত মর্তুজা আবেদিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে এবং লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।'
সকালে নগরীর ভূমি অফিসের সামনে থেকে স্থানীয় জনতা অস্ত্রসহ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সম্পাদক রইজউদ্দিন মান্নার সঙ্গে দেখা হলে পিস্তল বের করেন মর্তুজা আবেদিন।
রইজউদ্দিন মান্না ডেইলি স্টারকে বলেন, পিস্তল বের করা দেখে আমি চিৎকার করলে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে এসে তাকে ধরে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মতুর্জা আবেদিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ভূমি অফিস থেকে ফিরে আসার সময় মান্না আমাকে গালিগালাজ করে। এরপর তার সঙ্গে লোকজন আমাকে মারধর করে আমার পকেটে থাকা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি পিস্তলটি কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে দিতে উদ্যত হলে আমার কাছ থেকে মান্নার লোকেরা পিস্তল ছিনিয়ে নেয়।'
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হামিদুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আসলে কী ঘটেছিল আমরা এখনো অনুসন্ধান করছি। কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। এ মুহূর্তে মর্তুজা আমোদের হেফাজতে আছে।'
উল্লেখ্য, গত বিসিসি নির্বাচনে মর্তুজা আবেদিনের অভিযোগের কারণে বরিশাল সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রইজ আহম্মেদ মান্নার প্রার্থিতা আদালতের আদেশে বাতিল হয়। পরে মান্নার ভাই মুন্না নির্বাচনে দাঁড়ান এবং কাউন্সিলর পদে মর্তুজাকে পরাজিত করে। কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এই দুই নেতার মধ্যে এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে বৈরীতা তৈরি হয়।
Comments