জাপার দশম জাতীয় সম্মেলন পিছিয়ে ৯ মার্চ: রওশন এরশাদ

‘পল্লীবন্ধু এরশাদের রেখে যাওয়া জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তায় চরম ধস নেমেছে। পার্টি থেকে পল্লীবন্ধুর নামটাও প্রায় মুছে ফেলা হয়েছে।’
জাপার দশম জাতীয় সম্মেলন পিছিয়ে ৯ মার্চ: রওশন এরশাদ
রওশন এরশাদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের দশম জাতীয় সম্মেলন ২ মার্চের পরিবর্তে ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে রওশন এরশাদ।

আজ শনিবার সকালে গুলশানে নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

রওশন এরশাদ বলেন, 'যে দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী দক্ষতা ও যোগ্যতায় এখনো সরকার পরিচালনার স্বপ্ন দেখছে। সেই দলটির সাংগঠনিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে! পল্লীবন্ধু এরশাদের রেখে যাওয়া জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তায় চরম ধস নেমেছে। পার্টি থেকে পল্লীবন্ধুর নামটাও প্রায় মুছে ফেলা হয়েছে।

'পার্টির এই ক্রান্তিলগ্নে দেশের অগণিত এরশাদ পাগল নেতাকর্মীদের দাবির মুখে এসে কঠিন পরিস্থিতি আমাকে জাতীয় পার্টি রক্ষা করার জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, সবার সহযোগিতার মাধ্যমে হয়তো এই দায়িত্ব পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে,' বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির শীর্ষস্থানীয় ও অন্যান্য স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ২ মার্চ দশম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম। পবিত্র মাহে রমজানের আগে রাজধানীতে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকায় ওই দিনের উপযুক্ত ভেন্যু না পাওয়া আমরা তারিখ পরিবর্তন করেছি। ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।'

এ সময় তিনি সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন। মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ।

রওশন এরশাদ বলেন, 'দলের গঠনতন্ত্রের ২০-এর ১ ধারা অনুযায়ী জি এম কাদের ও চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম।'

এই ঘোষণার পরে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এটি এখতিয়ার বহির্ভূত।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago