পরবর্তী প্রজন্মকে পঙ্গু করতে মাদকের চালান ঢোকানো হচ্ছে: র‍্যাব মহাপরিচালক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৈরতলা এলাকায় র‍্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির ক্যাম্প উদ্বোধন করেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। ছবি: স্টার

পরবর্তী প্রজন্মকে পঙ্গু করে দিতে সুপরিকল্পিতভাবে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাদকের চালান দেশে ঢোকানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৈরতলা এলাকায় স্থাপিত র‍্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, 'ভয়াবহ অবস্থা সমাজের। এখন শুধু ছেলেরা নয় মেয়েরাও মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নেন, ঢাকাতে কিছু মাদকাসক্ত কেন্দ্র হয়েছে। এলিট শ্রেণি ইতোমধ্যে মাদকে জর্জরিত হয়ে গেছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণিতেও মাদক ঢুকে গেছে। আমরা যদি মাদক থেকে সমাজকে বাঁচাতে না পারি তাহলে আগামী ১০ বছর পরে বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি দেয়ার জন্য ছেলেপেলে খুঁজে পাওয়া যাবে না, আনফিট ছেলেপেলে পাবেন।'

র‍্যাব প্রধান বলেন, 'এইসব মাদকের ব্যবসা কারা করছেন? কোনো শ্রেণিপেশার লোক বাদ নেই। মেনশন করে বলতে চাই না। তবে সমাজের কোনো শ্রেণিপেশার লোক বাদ নেই যারা মাদক খাচ্ছে না, মাদকের ব্যবসা করছে না। শুধু শ্রেণিপেশা না জনপ্রতিনিধিরা পর্যন্ত এই কাজে ইনভলভ হয়ে গেছে।'

সারাদেশের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে গাঁজার চালান সবচেয়ে বেশি আসে বলেও তথ্য দেন তিনি।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ আখাউড়া, আগারতলা দিয়ে এসব আসে। দিন দিন এটা বাড়ছে।

র‍্যাব প্রধান আরো বলেন, 'এখনকার জেনারেশন উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরই দেশের বাইরে যেতে চায়।‌ তারা বিদেশে যেতে চায়, কারণ-- দেশে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার সুযোগ নেই, রেফারেন্স ছাড়া কাজ হয় না। কোনো অফিসে গেলে হয় রেফারেন্স, না হলে অর্থ। তাহলে আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধটা থাকল কোথায়, প্রশ্ন রাখেন তিনি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে র‍্যাব মহাপরিচালক হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছালে জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও র‍্যাবের পদস্থ কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। এরপর নতুন ক্যাম্পের সামনে র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে তিনি র‍্যাবের নতুন ক্যাম্প উদ্বোধন করে একটি বৃক্ষরোপণ করেন।

সুধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন র‍্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ খান রফিকুল ইসলাম, জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

When homes become killing grounds

Husbands killed 19 women on average each month this year

18m ago