লিবিয়ায় বন্যায় ৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা লিবিয়ান নিউজ এজেন্সি জানায়, বন্যায় অন্তত পাঁচ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লিবিয়ায় বন্যা
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দারনা শহরে বন্যায় বিধ্বস্ত গাড়ি। ছবি: রয়টার্স

মরুভূমির দেশ হিসেবে পরিচিত লিবিয়ায় বন্যায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিখোঁজ আছেন আরও অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে বলেছে, গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসের লিবিয়া প্রতিনিধি দলের প্রধান তামের রামাদান সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা লিবিয়ান নিউজ এজেন্সি জানায়, বন্যায় অন্তত পাঁচ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে সিএনএন মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতকাল লিবিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় তোবরুক শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে বন্যায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ১৪৫ জন প্রতিবেশী মিশরের নাগরিক।

পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আবদুল জলিল লিবিয়ার আলমাসার টেলিভিশনকে বলেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেরনা শহরে অন্তত ৬ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির শিরোনাম করা হয়েছে, 'লিবিয়ায় বন্যা: পুরো লোকালয় টেনে নিয়ে সাগরে ফেলা হয়েছে'।

দেশটির অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, দেরনা শহরে অন্তত দুই হাজার ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, সুনামির মতো আচমকা বড় বড় ঢেউ এসে মানুষজনকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের এক কর্মকর্তা হিশাম কিওয়াত বিবিসিকে বলেন, 'দেখে স্তম্ভিত হয়েছি, একি, এতো সুনামির মতো দেখতে।'

তিনি আরও বলেন, 'একটি বিশাল লোকালয় ধ্বংস হয়ে গেছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক। প্রতি ঘণ্টায় এই সংখ্যা বাড়ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
What constitutes hurting religious sentiments

Column by Mahfuz Anam: What constitutes hurting religious sentiments?

The issue of religious tolerance have become a matter of great concern as we see a global rise in narrow-mindedness, prejudice and hatred.

8h ago