কঙ্গোর ৩ সরকারি কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্যাপক আকারে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে কঙ্গোর বেশ কয়কজন সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট কঙ্গোতে মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কঙ্গোলিজ ইনস্টিটিউট ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের (আইসিসিএন) সাবেক মহাপরিচালক কসমা ওয়াইলুঙ্গুলা বালংগেলওয়া; কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন ইনডেনজারড স্পেসিস অব ওয়াইল্ড ফোনা অ্যান্ড ফ্লোরা (সিআইটিইএস) বিষয়ক ম্যানেজমেন্ট অথরিটির প্রধান এবং আইসিসিএনের পরিচালক লিওনার্দ মুয়াম্বা কানদা ও ডিআরসি সিআইটিইএস ম্যানেজমেন্ট অথরিটির ডিরেক্টর-অর্ডিনেটর এবং আইসিসিএনের আইনি উপদেষ্টা অগাস্টিন এনগুম্বি আমুরি। বন্যপ্রাণী সুরক্ষার জন্য দায়বদ্ধ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ঘুষের বিনিময়ে মিথ্যা পারমিট দিয়ে কঙ্গো থেকে চীনে শিম্পাঞ্জি, গরিলা, ওকাপি এবং অন্যান্য সুরক্ষিত বন্যপ্রাণী পাচার করে তাদের সরকারি পদের অপব্যবহার করেছেন।
তাদের দুর্নীতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুধু আইনের শাসন এবং কঙ্গো সরকারের স্বচ্ছতাকেই ক্ষুণ্ন করেনি বরং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কঙ্গোতে যারা বন্যপ্রাণী পাচার রোধ, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করছেন তাদের সহযোগিতার জন্যেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যেসব কাজ জনস্বার্থ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে এবং জনগণের প্রয়োজনে কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য সরকারের ক্ষমতা হ্রাস করে সেসব কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিকে পুনঃনিশ্চিত করেছে।
ফরেন অপারেশনস অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রাম অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন অ্যাক্ট ২০২৩-এর ধারা ৭০৩১(সি)-এর অধিনে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কানদার স্ত্রী রোজ এনসেলে এনগোকলি এবং উইলুংগুলার স্ত্রী এস্থার মওয়াঙ্গা উইলুংগুলাকেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
Comments