র্যাগিংয়ের অভিযোগে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
র্যাগিংয়ের অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। র্যাগিংয়ের ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার পাবিপ্রবির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. নাজমুল হোসেন বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে জানান, ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি আলাদা করে আর কিছু বলতে চাই না। যা বলার লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।'
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের একটি ছাত্রী মেসে থাকেন। গত শনিবার রাতে তাকে নিজের রুমে ডেকে নেন পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। সেই সময় ওই শিক্ষার্থী ১০-১২ জন সহযোগীসহ তাকে মেসের ছাদে নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এতে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে গত রোববার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওইদিনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাজমুল ইসলাম বলেন, 'অভিযোগ পাওয়ার পর আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক রাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তদন্তে যারাই দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments