সিনিয়রদের মারধরে হাত ভাঙল ববি শিক্ষার্থীর, পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়

উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার বিকেলে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
আহত মুকুল আহম্মেদ। ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাগিং নিয়ে মন্তব্যের জেরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের দুই সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আহত মুকুল আহম্মেদ বরিশাল-শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার বিকেলে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত দুজন হলেন ইংরেজি বিভাগের দশম অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মঞ্জু ও সিহাব। আহত মুকুল ইংরেজি বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় রোববার রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল কায়েসকে প্রধান করে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।'

আহত মুকুল বলেন, `আমি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের জুনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে ডেকে নিয়ে র‌্যাগিং করার বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলাম। এর জেরে ওই দুজন আমাকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় রুমে ডেকে নেন। সেখানে ভোররাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আমাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে তারা আমার রুমে যান ইনহেলার খুঁজতে। ভোর পর্যন্ত তারা আমাকে আটকে রাখেন।'

'পরের দিন শুক্রবার সহপাঠীরা আমাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। আমি একজন সাধারণ ছাত্র। কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নিই। যারা আমাকে মারধর করেছেন তারা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত', যোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মঞ্জু ও সিহাবকে ফোন করা হলে তারা ফোন ধরেননি।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন বলেন, 'এই ঘটনা শুনে হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীকে দেখে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। কে কীভাবে মেরেছে এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।'

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  

Comments