দেশের জনগণকে দেউলিয়া করে পৃথিবীকে বাঁচাব না: যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগামী সপ্তাহে সংসদে বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জনের যে লক্ষ্য তা পেছানোর ঘোষণা দিতে পারেন।
সুয়েলা ব্রেভারম্যান। ছবি: ডয়চে ভেলে

অর্থনীতির দোহাই দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেন, ব্রিটেনের জনগণকে দেউলিয়া করে পৃথিবী বাঁচাতে চায় না তার সরকার।

বুধবার সুয়েলা ব্রেভারম্যান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, 'নেট জিরো' বা কার্বন নির্গমন শূন্যের কোটায় আনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের আরো বাস্তবমুখী হতে হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগামী সপ্তাহে সংসদে বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের ২০৫০ সালের মধ্যে 'নেট জিরো' অর্জনের যে লক্ষ্য তা পেছানোর ঘোষণা দিতে পারেন। তারই প্রেক্ষাপট তৈরি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেভারম্যান।

'আমাদের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা করতে হবে, যা ভারসাম্যপূর্ণ ও লক্ষ্যও পূরণ করে এবং আমরা এই পৃথিবী বাঁচাতে গিয়ে ব্রিটিশ জনগণকে দেউলিয়া করতে পারবো না।'

পৃথিবীর বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যই প্রথম, যারা ২০৫০ সালের মধ্যে 'নেট জিরো' অর্জনের আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে। তারা গেল কয়েক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়িয়েছে।

তবে সুনাক সরকারের আমলে সম্প্রতি কার্বন নির্গমন কমানোর বিভিন্ন উদ্যোগে কিছুটা ভাটা পড়েছে। জীবনমানের খরচ বাড়ায় পরিবহন থেকে শুরু করে ঘর গরম রাখার যন্ত্র থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর উদ্যোগগুলোর যে বিনিয়োগ সেখানে স্থবিরতা এসেছে।

আগামী বছর নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনাক কতগুলো 'গ্রিন পলিসি'তে খরচ কমাচ্ছেন। লক্ষ্য 'সুইং' বা দোদুল্যমান ভোটারদের আকর্ষণ করা। কয়েকদিন আগেও যেখানে যুক্তরাজ্য জলবায়ু ইস্যুতে নিজেদের বিশ্বনেতা বলে দাবি করত, এই নীতি তাদের সেখান থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।

সুনাক যেসব বিষয়ে নীতির পরিবর্তন আনতে পারেন তার একটি হলো পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার সময়সীমা ২০৩০ থেকে ২০৩৫ করা। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও লক্ষ্য ২০৩৫ সাল।

Comments