ডেঙ্গু-দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত: ওয়ার্কার্স পার্টি

সারাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুহার এবং দ্রব্যমূল্যের পরিকল্পিত ঊর্ধ্বহার সম্পর্কে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিশ্চেষ্ট এবং নির্বিকার মনোভাবের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

আজ বৃহস্পতিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সভায় দলের নেতারা এ ক্ষোভ জানান।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহতা উল্লেখ করে নেতারা বলেন, মশক নিধনে যেমন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। তেমনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঢাকায় আসতে বারণ করা ছাড়া আর বিশেষ কিছু করছে না। এ ব্যাপারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে পরামর্শও তারা গ্রহণ করছে না। অতীতে যেমন জরুরিকালীন পরিস্থিতির মতো এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হত, এবার সেটা একেবারেই অনুপস্থিত।

ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজারে কিছু পণ্যের দাম বেধে দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। বাজারমূল্যের এমন অবস্থার পেছনে যে সিন্ডিকেট কাজ করছে সেটা স্বীকার করে নেওয়ার পরও ওই সিন্ডিকেট ভাঙার বা সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্যোগ পর্যন্ত নিচ্ছে না। উভয় ক্ষেত্রেই মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে।

সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনায় বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ যতখানি না, তার চেয়ে ডেঙ্গু ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি দেশের মধ্যে বেশি অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। সেই বিবেচনা থেকেও এই উভয় পরিস্থিতি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সভায় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতায় মধ্যে রাখার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর ওপরও জোর দেওয়া হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরো সদস্য ড. সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, হাজী বশিরুল আলম, অধ্যাপক নজরুল হক নীলু এবং আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

‘There’s no fish there’

Fishermen in Bhola borrow to celebrate Eid amid Hilsa crisis

1h ago