‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

ছবি: স্টার

অনলাইনে ডেভিলস ব্রেথ বা শয়তানের নিঃশ্বাস নামে পরিচিত মাদক স্কোপোলামিন বিক্রির অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।  

তাদের কাছ থেকে ১০ গ্রাম স্কোপোলামিন, ১ দশমিক ২ লিটার পটাশিয়াম সায়ানাইড, ২ দশমিক ৫ লিটার ক্লোরোফরম, ৬টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও একটি রেজিস্টার খাতা জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ২ যুবক শাকিল আহাম্মদ (৩০) ও মো. রাকিবকে (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, শাকিল ফেসবুকে কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে স্কোপোলামিন, পটাশিয়াম সায়ানাইড ও ক্লোরোফরম বিক্রি করতেন। তাকে এসব মাদক ও রাসায়নিক দ্রব্য রাকিব সরবরাহ করতেন।

উচ্চমাত্রার মাদক স্কোপোলামিন বাংলাদেশে বিক্রির ব্যাপারটি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন এসপি গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, 'এই মাদকটির বিষয়ে স্টাডি করে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনেছি। এ দেশেও মাদক হিসেবে এটি বিক্রি হচ্ছে, ব্যাপারটি খুবই উদ্বেগজনক।'

গত ২৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় পূর্বাচল উপশহরে রাস্তার পাশ থেকে একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দায়ের হত্যা মামলার তদন্তে নেমে অনলাইনে এ মাদক বিক্রির ব্যাপারটি জানতে পারে পুলিশ৷

এসপি বলেন, 'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করছিল ডিবি পুলিশের একটি টিম। তদন্তে শাকিলের সন্ধান পায় পুলিশ। প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ শাকিল অনলাইনে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছে স্কোপোলামিন মাদক, পটাশিয়াম সায়ানাইড ও ক্লোরোফর্ম বিক্রি করেন। কাকে কী পরিমাণ বিক্রি করলেন সেগুলোর একটা হিসাবও রেজিস্টার খাতায় তিনি রাখেন। এ ধরনের একটি খাতাও আমরা জব্দ করেছি। আরও তদন্ত করতে গিয়ে শাকিলের এ মাদক বিক্রির সঙ্গে রাকিবের জড়িত থাকার তথ্য পেয়ে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।'

রাকিব একটি রপ্তানিমুখী ক্যামিকেল কারখানায় চাকরি করেন। তিনি এসব মাদক ও বিষাক্ত রাসায়নিক শাকিলকে সরবরাহ করতেন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম।

চক্রটি এক বছর যাবত অনলাইনে এসব মাদক ও নিষিদ্ধ রাসায়নিক বিক্রি করছে জানিয়ে এসপি গোলাম মোস্তফা বলেন, 'চক্রটির বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।'

এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এবং আরও তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে তার মৃত্যুতে শাকিলের জড়িত থাকার ব্যাপারটিও আমরা খতিয়ে দেখছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

5h ago