আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

যে মুদ্রার দুই পিঠেই পাকিস্তান

সাধে কি আর আনপ্রেডিক্টেবল বলে সবাই।

যে মুদ্রার দুই পিঠেই পাকিস্তান

ভারত বনাম পাকিস্তান

সাধে কি আর আনপ্রেডিক্টেবল বলে সবাই। যে কোনো অবস্থান থেকে যে কোনো কিছুই করতে পারে পাকিস্তান। এক ম্যাচ আগেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ে জয় তুলে নেয় তারা। সেখানে আগের দিন ভারতের বিপক্ষে লড়াই করার পুঁজিই গড়তে পারেনি দলটি।

আহমেদাবাদে আগের দিন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি মোটেই মন ভরাতে পারেনি সমর্থকদের। ১৯১ রানের মামুলী পুঁজি নিয়ে বড় ব্যবধানেই হারতে হয় পাকিস্তানকে। তাদের এমন পরাজয়ে হতাশ ভারতীয় সমর্থকরাও। আসরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচে লড়াই আশা করেছিলেন তারাও।

বড় ব্যবধানের এই হারে 'লজ্জা'র এক নজিরও গড়ে ফেলে পাকিস্তান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে আট লড়াইয়ের সবগুলোই হেরেছে তারা। অথচ একপেশে ম্যাচের এই বিব্রতকর রেকর্ড থেকে ঠিক তার আগের ম্যাচেই মুক্তি পেয়েছিল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপে আট মোকাবেলার সবগুলোই হারিয়েছিল তারা।

অর্থাৎ মুদ্রার দুই পিঠেই পাকিস্তান। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে একপেশে ম্যাচের রেকর্ডের দুই প্রান্তেই তারা। কোনো এক নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বার হারের নজির তাদের। যেখানে ভারতের বিপক্ষে আট ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে তারা। আবার কোনো এক নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর নজিরেও রয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আট ম্যাচের সব ম্যাচই জিতেছে দলটি।

ভারতের বিপক্ষে ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। এরপর কেবল ২০০৭ বিশ্বকাপে দুই দলের মোকাবেলা হয়নি। দুই দলই সেবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। এছাড়া ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রতিবারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। প্রতি ম্যাচের ফলাফল একই। সব ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান।

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলে পাকিস্তান। এরপর ১৯৮৩, ১৯৮৭, ১৯৯২, ২০১১, ২০১৯ ও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় দলদুটি। যেখানে প্রতিবারই জিতেছে পাকিস্তান। চলতি আসরে তো রেকর্ড গড়েই লঙ্কানদের হারায় দলটি।

বিব্রতকর এই রেকর্ডের খুব কাছেই রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই হেরেছে টাইগাররা। অবশ্য বাংলাদেশের মতো অবস্থা জিম্বাবুয়েরও। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কখনোই জিততে পারেনি তারা। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা।

Comments

The Daily Star  | English
5G network services in Bangladesh

Bangladesh enters 5G era with limited rollout

Bangladesh has finally entered the 5G era, as the country’s top two mobile operators yesterday announced the limited launch of the technology, aiming to provide ultra-fast internet, low latency, improved connectivity, and support for smart services and digital innovation..Unlike previous g

2h ago