চাঁদা চেয়ে চিঠি পাঠানো সেই ওসি বরখাস্ত

চিঠিতে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ৩০০ প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানি, ৩০ কেজি জিলাপি, ৩০ কেজি মিষ্টি, ৩০০ প্যাকেট দই ও ৫০০ বোতল পানি চাওয়া হয়।
ওসি মোহাম্মদ নাজমুল হক কামাল। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদা দাবির অভিযোগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শামসুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'শারদীয় দুর্গাপূজা ও কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠানের জন্য তিন কোম্পানির কাছে সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির একটি অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।'

কমিটি কমিটি গত পরশু প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ দিবস ও দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির অতিথিদের আপ্যায়ন করতে হবিগঞ্জের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল চেয়ে চিঠি দেন ওসি শেখ নাজমুল কামাল।

চিঠিতে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য ৩০০ প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানি, ৩০ কেজি জিলাপি, ৩০ কেজি মিষ্টি, ৩০০ প্যাকেট দই ও ৫০০ বোতল পানি চাওয়া হয়।

এ ছাড়া আরও দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে একই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার এক কনস্টেবলের মাধ্যমে ওসি কামাল অলিপুর স্কয়ার ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও একই এলাকার তাফরিদ কটন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠান।

চাঁদা দাবির এ ঘটনায় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান আরও একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) নাছির উদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে আরও আছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ (এডমিন) প্রবাসা কুমার সিংহ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খলিলুর রহমান।

Comments