সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত প্রত্যেকের ক্ষতিপূরণ দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা ১৮৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং আহত ব্যক্তিরা ১৭৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিদার। অথচ গত বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ১৬২ জনকে সাত কোটি আট লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
Road Accident logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানিয়েছেন।

তিনি নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ও আহত ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।

মোজাম্মেল বলেন, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও আহতদের তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান আছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পযন্ত চার হাজার ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিন হাজার ৭২৭ জন নিহত ও পাঁচ হাজার ৭৮১ জন আহত হয়েছেন। সে হিসাবে নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা ১৮৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং আহত ব্যক্তিরা ১৭৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিদার। অথচ গত বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ১৬২ জনকে সাত কোটি আট লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

মোজাম্মেল আরও বলেন, বিআরটিএ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে রোড সেফটি ইউনিট গঠিত হলেও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তাদের কোনো গবেষণা কার্যক্রম নেই। ফলে প্রতি বছর সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছেই।

এ সময় তিনি আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির আবেদনের সময়সীমা দুর্ঘটনার তারিখ থেকে এক মাসের পরিবর্তে ন্যূনতম এক বছর করা; তহবিলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও মালিক শ্রমিক সংগঠনের প্রভাবমুক্ত করা; সিসিটিভি ক্যামেরা পদ্ধতিতে ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন সিস্টেম চালু করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম. মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মহসিন।

সড়ক দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, রাহিলা আনজুম খুশবু, আয়েশা খাতুন ও পান্না আক্তারসহ অনেকে।

Comments