হরতালে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

ভোর ৫টার পর চট্টগ্রাম থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। ছবি: এফ এম মিজানুর রহমান/স্টার

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে কোনো দুরপাল্লার বাস ছাড়েনি।

তবে কুমিল্লা ও ফেনীগামী দুয়েকটি বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

আজ রোববার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন সড়কে অল্প গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচল করে।

যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সরেজমিনে নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, নিমতলা, কাস্টম মোড়, কর্নেল হাটসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানবাহনের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় যথেষ্ট কম দেখা যায়।

অলংকার মোড় এলাকার ইউনিক বাস কাউন্টারের ম্যানেজার এম এইচ হেলাল উদ্দিন সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হরতালের কারণে ভোর ৫টা থেকে দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকাল ৪টার পর আবার সার্ভিস চালু করা হতে পারে।'

তিনি বলেন, 'আমার কাউন্টার হয়ে প্রতিদিন ৪৫-৫০টি বাস যেত। তবে আজ একটিও যায়নি।'

সেখানকার আরও অন্তত ১০টি বাস কাউন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বাস বন্ধ করিনি। যাত্রী না থাকায় দুরপাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। যাত্রী পেলে বাস ছাড়বে।' 

এদিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি বিএনপির কোনো নেতাকে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (দক্ষিণ বিভাগ) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নোবেল চাকমা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোতোয়ালি, চকবাজার ও বাকালিয়া এলাকায় হরতালের কোনো প্রভাব না থাকলেও পুলিশ সতর্ক রয়েছে।'

মাঠ পর্যায়ের পুলিশের মনোবেল চাঙ্গা রাখতে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সদস্যদের সঙ্গে সশরীরে দেখা করে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago