লালমনিরহাটে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংঘর্ষে আ. লীগ কর্মী নিহত

লালমনিরহাটে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪৪) লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
জাহাঙ্গীর আলম

লালমনিরহাটে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪৪) লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেড়াপাঙ্গা গ্রামে।

সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের আরেক কর্মী রাজু ইসলাম (৩৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষে হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক।

ওসি ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোববার সকালে হরতালের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহেন্দ্রনগর খান মার্কেট এলাকায় ভাঙচুর চালান। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলাকারীরা জাহাঙ্গীর ও রাজুকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। তাদের মাথা, হাতে, পায়ে ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আহত দুজনকে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেন এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। নিহত জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গুরুতর আহত রাজু মহন্দ্রেনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলাকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

Comments