বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হলে সংলাপ হতে পারে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হলে সংলাপ হতে পারে
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে কোনো সংলাপের উদ্যোগ নেবে না। চারটি মূল বিষয়কে বাইরে রেখে বিএনপির যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তাহলে সংলাপ হতে পারে।'

আজ রোববার তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ এখন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।'

ওবায়দুল কাদের যে চারটি মূল বিষয়ের কথা বলেছেন সেগুলো হলো—তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরবে না, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, সংসদ আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থায় থাকবে এবং নির্বাচন কমিশন  যেমন আছে তেমনই থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করারও সুযোগ নেই। কারণ, সেখানে শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই অংশ নিতে পারবেন।'

গতকালকের বিএনপির মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তার মাধ্যমে তাদের তথাকথিত সমাবেশকে নিয়ে জনমনে যে আশঙ্কা ছিল সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।'

এই ঘটনার মাধ্যমে তাদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, '২০১৪ সালে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড বিএনপি আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে।'

'বিএনপি গতকাল কী করেনি? আন্দোলনের নামে তারা সবই করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করে একজনকে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে,' যোগ করেন তিনি।

নির্বাচন বানচালের জন্য শত শত নিরীহ মানুষকে বিএনপি জিম্মি করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'অফিস- আদালত, বাসাবাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর করেছে তারা। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য আবারও তারা তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে।'

বিএনপিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে সংঘাতে যাব না। কারণ, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, শান্তির কথা বলছি। কিন্তু আমাদের ওপর কেউ হামলে পড়লে পরিস্থিতি যেটা বলবে আমরা সেটাই করব।'

গতকালের হামলায় জড়িত সবার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিকল্প নেই। যদি পরিবর্তন চান, তাহলে আসুন। আমরা একটা সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে বদ্ধ পরিকর। নির্বাচন সময়মত হবে। জনগণ না চাইলে আমরা ক্ষমতা থেকে সরে যাব। আর যদি কেউ মনে করে সহিংসতা করে, অপকর্ম করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন, নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করবেন, সেটা আমরা হতে দিব না।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago