৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর ইন্টারনেট সেবা আংশিক বিঘ্নিত হবে
দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল আপগ্রেডেশন কাজের জন্য দুই দিনে ২০ ঘণ্টা আংশিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে সি-মি-উই ৪। এজন্য আগামী ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর প্রায় ২০ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা আংশিক বিঘ্নিত হবে।
জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ ৪ (সি-মি-উই ৪) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কক্সবাজারে স্থাপিত সার্কিটগুলো ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা এবং ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা আংশিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মির্জা কামাল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সি-মি-উই ৪ এর সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। আর যখন কোনো সিস্টেম আপগ্রেড করা হয়, তখন বিদ্যমান পরিষেবাগুলো সংশোধনের দরকার হয়।'
'এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সিস্টেম বন্ধ রাখতে হবে,' যোগ করেন তিনি।
বিএসসিপিএলসি দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের ক্ষমতা প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত করতে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।
বর্তমানে সমুদ্রের তলদেশের এই কেবলের মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়, যা ২০০৬ সালে বাংলাদেশে সংযুক্ত হয়েছিল। এর ধারণ ক্ষমতা ৮৫০ জিবিপিএস।
মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, 'আমাদের কিছু গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে। তবে সি-মি-উই ৫ চালু থাকায় ইন্টারনেট সেবা আংশিক বিঘ্ন হবে।'
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, সি-মি-উই ৪ সাবমেরিন ক্যাবলের আপগ্রেশনের কাজ শেষে বিএসসিপিএলসির ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া, বিএসসিপিএলসি সি-মি-উই ৫ এর মাধ্যমে ১ হাজার ৭০০ জিবিপিএস সরবরাহ করে।
এদিকে দেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার এখন ৫ হাজার জিবিপিএসের ওপরে দাঁড়িয়েছে। যার অর্ধেকেরও বেশি বা প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএস দুই সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।
বিএসসিপিএলসি ২০২৫ সালের মধ্যে সমুদ্রের নিচে তৃতীয় ক্যাবল সি-মি-উই ৬ থেকে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস পাবে।
Comments