মাথায় বাড়ি দিয়ে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে: তাপস

মাথায় বাড়ি দিয়ে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

একই কুচক্রী মহল বারবার বিভিন্ন পণ্যের সংকট তৈরি করছে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এই সিন্ডিকেটের মাথায় বাড়ি দিয়ে ভেঙে দিতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনি সকল বিষয়ে অবগত আছেন। আমি অনুরোধ করব, আপনি কঠোর হবেন এবং এই কুচক্রী সিন্ডিকেটকে এমনভাবে ধরবেন, যাতে করে তারা আর মাথা উঁচু করতে না পারে।'

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মালিবাগে পিডব্লিউডি স্টাফ কোয়ার্টারে দেশব্যাপী এক কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তাপস বলেন, '২০০১ থেকে ২০০৬ সালে কী নাকাল অবস্থা গেছে! বিভীষিকাময় একটি সময়, যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কালো বিভীষিকাময় সময়। একদিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, আরেকদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কিন্তু মানুষের জীবন নাভিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে সে সময় আওয়ামী লীগ সরকার, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে দাবি-অধিকার আদায়ের সংগ্রাম আহ্বান করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার জনগণ ২০০৮ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল।'

তিনি বলেন, 'বাজারকে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যেভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, এক সময় পেঁয়াজ, এক সময় আলু, এক সময় মরিচ, এক সময় লবণ—এভাবে তো চলতে পারে না! আলুতে কিন্তু আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, আমাদের কিন্তু উদ্বৃত্ত আলু। আমরা কিন্তু রপ্তানি করে থাকি। সেখানে কীভাবে আলুর দাম এভাবে চড়া হতে পারে? এটা তো অর্থনৈতিক কোনো মানদণ্ডেই গ্রহণযোগ্য না।

'তার মানে কারসাজি যারা করছে, আমাদের সাধারণ মানুষের যেটা ধারণা, আমারও সেটা ধারণা, সেটা হলো একটাই কুচক্রী মহল। একটাই কুচক্রী মহল যারা কোনো সময় আলু, কোনো সময় ডিম, কোনো সময় পেঁয়াজ, কোনো সময় চাল; এই কারসাজিটা করে চলেছে,' বলেন তিনি।

তাপস আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলে আজকে নিম্ন আয়ের মানুষ টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পেয়ে তারা তাদের জীবন-যাপন করতে পারছে। এই উদ্যোগ যদি গ্রহণ করা না হতো, আরও কী ভয়ঙ্কর অবস্থা বিরাজ করতো! টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে হয়তো আমরা নিম্ন আয়ের মানুষকে দিতে পারছি কিন্তু আর সাধারণ মানুষ, মধ্য আয়ের মানুষ, তাদের তো নাভিশ্বাস হচ্ছে, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

'এখন অবশ্যই এই সিন্ডিকেটকে আমাদের একদম মাথায় বাড়ি দিয়ে ভেঙে দিতে হবে। আপনি জানেন সব বিষয়, আপনি গভীরে ধরেন, বাংলার জনগণ আপনার সঙ্গে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গে আছে,' যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'কুচক্রী মহলের জন্য এত মহতি উদ্যোগকে আমরা ম্লান হতে দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী, আপনি, আমরা সবাই এত পরিশ্রম করার পরেও যদি মানুষকে প্রশান্তি দিতে না পারি, তাহলে এগুলো সবই কিন্তু ম্লান হয়ে যাবে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, সেই স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেটের স্মার্টনেস আমরা বরদাস্ত করব না।'

বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো উদ্দেশে আগুন সন্ত্রাস করে সরকার পরিবর্তন করা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'সে আগুনে মানুষ পুড়বে, আপনারা পুড়বেন। সুতরাং একমাত্র উপায় হলো সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক উপায়; সঠিক সময়ে নির্বাচন।'

তিনি বলেন, 'আমরা আশা করব, বিএনপিসহ যারা আগুন সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে, তারা এখান থেকে সরে নির্বাচনের পথে আসবে। এর জন্য আমি মনে করি, সরকার প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তুত, যদি ছাড়ও দিতে হয়, বিভিন্ন রকমের ছাড় দিয়ে হলেও আমরা চাই, বিএনপিসহ যারা আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস করছে, তারা আগুন সন্ত্রাস থেকে বিরত থেকে নির্বাচনে আসবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমাণ হবে যে, জনগণ কাকে চায়।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago