সিলেট থেকে

আইন ভেঙে বলে দুবার লালা ব্যবহার করেছেন ফিলিপস

বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গত বছর হালনাগাদকৃত ক্রিকেটীয় আইন অনুসারে, বলে লালা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। মহামারী করোনাভাইরাস ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে হানা দেওয়ার পর সুরক্ষার স্বার্থে এই আইন চালু করেছে আইসিসি। কিন্তু সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় আইনটি ভেঙেছেন গ্লেন ফিলিপস। একবার নয়, দুবার বলে লালা মাখিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার, ম্যাচের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৪তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। দ্বিতীয় ডেলিভারিটি করার আগে দুবার বলে লালা ব্যবহার করেন অফ স্পিনার ফিলিপস। টেলিভিশনের পর্দাতেও ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য। কিন্তু কাজটি আইনবিরুদ্ধ হলেও দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার আহসান রাজা ও পল রাইফেল ফিলিপসকে কোনো রকমের বাধা দেননি বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করেছে আইসিসির সঙ্গে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, 'মাঠের ভেতরের ঘটনাগুলো সামলানো ম্যাচ কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে এবং আমরা এসব ব্যাপারে বিবৃতি দিই না।'

ক্রিকেটের আইনের ৪১.৩ ধারা হালনাগাদ করা হয়েছে এবং গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'কোভিড-১৯ মহামারীর পর যখন ক্রিকেট আবার শুরু হয়েছিল, তখন এই খেলার শর্তগুলোর মধ্যে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, বলে লালা ব্যবহারের অনুমতি আর নেই। এমসিসির (ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা) গবেষণায় দেখা গেছে যে, বোলাররা যে পরিমাণ সুইং পান, সেটার ওপর লালার প্রভাব সামান্য বা কোনো প্রভাব নেই। খেলোয়াড়রা বল চকচকে করার জন্য যে ঘাম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নতুন আইন অনুসারে, বলের ওপর লালা ব্যবহারের অনুমতি আর নেই।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লালা ব্যবহারের শেষ ঘটনাটি ছিল গত বছরের নভেম্বরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলিশান শরাফু বলে লালা মাখিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় শাস্তি মিলেছিল আরব আমিরাতের। তাদের প্রতিপক্ষ নেপালের দলীয় সংগ্রহে যোগ হয়েছিল অতিরিক্ত ৫ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago