বোর্ডের নির্দেশে ২০২৪ আইপিএল খেলবেন না আর্চার

jofra archer
ছবি: এএফপি

বিশ্ব ক্রিকেটে ঝলমলে আবির্ভাবে নিজের নাম ছড়িয়ে দিতে সময় লাগেনি জোফরা আর্চারের। তবে গতির ঝড় তোলা এই তারকাকে গত বছর তিনেক ধরে লড়তে হচ্ছে চোটের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক হোক কিংবা ঘরোয়া— একের পর এক বড় প্রতিযোগিতায় তাই অনুপস্থিত থাকছেন তিনি। আগামী ২০২৪ আইপিএলেও দেখা যাবে না এই পেসারকে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডই (ইসিবি) তাকে নির্দেশ দিয়েছে নিলামে নাম না দেওয়ার।

গত ২৬ নভেম্বর আইপিএলের আগামী আসরের জন্য ধরে রাখা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সেখানে দেখা যায়, আট কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করে দলে টানা আর্চারকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর ধরে রাখেনি। আগামী ১৯ ডিসেম্বরে হতে যাওয়া আইপিএলের নিলামে হাজারের বেশি খেলোয়াড় নাম নিবন্ধন করেছেন। সেখানে ইংল্যান্ডের ৩৪ জন ক্রিকেটার থাকলেও পাওয়া যায়নি আর্চারের নাম।

বারবার ফিরে আসা কনুইয়ের চোট থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি আর্চার। গত মে মাসের পর আর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া আগামী ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে ফেরানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসিবির। জুনে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলবে আইপিএল। বিশ্বকাপের আগে আর্চারকে সেখানে না পাঠিয়ে, তার দেখভাল নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখে করতে চায় ইংলিশ বোর্ড।

২৮ বছর বয়সী ডানহাতি ফাস্ট বোলার আর্চার সবশেষ স্বীকৃত ক্রিকেট খেলেছিলেন আইপিএলেই। চলতি বছরের আইপিএলের পুরো মৌসুম যদিও খেলতে পারেননি। আসরের মাঝপথেই তাকে কনুইয়ের ব্যথায় ভুগে পরে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। এরপর যদিও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে স্রেফ এক সপ্তাহও তিনি থাকতে পারেননি বিশ্বকাপে ভরাডুবির শিকার হওয়া দলের সঙ্গে। কনুইয়ের ব্যথা বেড়ে গেলে তিনি ফিরে যান দেশে।

গত কয়েক বছরে আইপিএলে আর্চারকে নিয়ে নাটকীয়তাও কম হয়নি। একটি ম্যাচও খেলতে পারবেন না জেনেও গত ২০২২ সালের আইপিএলে তাকে বড় অঙ্কে কিনে নিয়েছিল মুম্বাই। ২০২৩ আইপিএলে তাকে দলে ধরে রাখার সুবিধা পেতেই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছিল মুম্বাই। কিন্তু এই বছরেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাকে পড়তে হয় চোটের কবলে। চাহিদার তুঙ্গে থাকা এই বোলারের আরেকটি আইপিএলের আসরও এবার যোগ হলো 'মিস' হওয়ার তালিকায়।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

8h ago