ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ: ২ মাসে ১৬ হাজার ১৫ ফিলিস্তিনি ও ৮৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত

পশ্চিম তীরে সেটলারদের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি নাগরিক আহমেদ আসসির (৩৮) শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছে নিকটজনরা। ছবি: রয়টার্স
পশ্চিম তীরে সেটলারদের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি নাগরিক আহমেদ আসসির (৩৮) শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছে নিকটজনরা। ছবি: রয়টার্স

গাজায় যুদ্ধরত অবস্থায় সর্বশেষ আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন এবং চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৮ জন ইসরায়েলি সেনা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার যুদ্ধরত অবস্থায় এক সেনা নিহত হন। অপর ইসরায়েলি সেনা মঙ্গলবার গুরুতর আহত হয়ে পরের দিন চিকিৎসারত অবস্থায় প্রাণ হারান। তাদের দুইজনেরই বয়স ২২।

এর বিপরীতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

তবে গত দুই দিনে ইসরায়েলের হামলার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজার সব হাসপাতাল ও অন্যান্য সূত্র থেকে হতাহতের পুরো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। যার ফলে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং হামাসের হাতে জিম্মি হন প্রায় ২৪০ জন। ইসরায়েল দাবি করছে, এখনো হামাসের কাছে ১৩৬ জন জিম্মি আটক আছেন।

এ ঘটনার পর হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। এই লক্ষ্যে গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই মাস ধরে নির্বিচার স্থল ও বিমানহামলা চালায় ইসরায়েল। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। গত শুক্রবার এর মেয়াদ শেষ হয়।

সাত দিনের এই যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় নতুন করে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির মাঝে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

26m ago