গার্মেন্টসকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের পাঁয়তারা চলছে দেশ-বিদেশে: ওবায়দুল কাদের

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে একটি মহল শ্রমিকদের ব্যবহারের পাঁয়তারা করছে। আমাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে গার্মেন্টসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে।

আজ শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, 'গার্মেন্টসকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার পাঁয়তারা আছে দেশ-বিদেশে। প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এই সেক্টর উন্নয়নে, শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে আরও কিছু করার ব্যাপারেও সরকার অত্যন্ত যত্নশীল। কাজেই বিষয়টি নিয়ে পানি ঘোলা করার কারণ নেই।'

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়, সেটা শুধু বিএনপি ও তার দোসরদের দিতে পারে। তারা এ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

'আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমরা আমাদের সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি শান্তিপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এখন কম্বোডিয়ায় দিয়েছে, এটা তাদের ব্যাপার, কেন দিয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমেরিকা তো বলছে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটা হচ্ছে না কেন? তারা নাশকতা করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। এটাই তো সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের বিরোধিতা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় সেটা শুধু একমাত্র বিএনপি ও তার দোসররাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।'

'নির্বাচন কমিশন সবসময় স্বাধীন' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাব। কোনো বাধা বিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, সন্ত্রাস নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারে না। কারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ দেশের জনগণ আজ নির্বাচনমুখী। নির্বাচনমুখী ভোটাররা যেকোনো উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এতে যারা বাধা দেবে, কার্যক্রমের বিপত্তি সৃষ্টি করবে, তাদেরকে দেশের ভোটাররাই প্রতিহত করবে।' 

তিনি বলেন, 'নির্বাচনে বিএনপি ও তার সহযোগীরা অনেকে অংশ নেয়নি। তবে সারাদেশে একইভাবে নির্বাচনের তৎপরতা চলছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।'

জাতীয় পার্টি কি প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পেরেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এটা জাতীয় পার্টিকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা কী ভূমিকা রাখতে চায়। আমাদের সঙ্গে বসলে আমরা তাদের নীতি আদর্শ নিয়ে কথা বলি না।'

স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, '১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলবে। পাবলিকের সাপোর্ট নেওয়ার জন্য তো বিরুদ্ধে কথা বলবেই।'

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

A tribute article on Prof Yunus was written by Hillary Clinton for the magazine

3h ago