কোনো উপাচার্য অর্থ আত্মসাৎ করলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: হাইকোর্ট

high court
স্টার ফাইল ফটো

সরকারি তহবিল যারা ব্যয় করে তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে বলে একটি মামলার পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) দায়িত্ব পালনকালে বেআইনি কাজ, কোনো অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ করলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

২০২১ সালের ৫ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান নিজের শেষ কর্মদিবসে ১৩৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের রায় দেওয়ার সময় হাইকোর্টে বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাইকোর্ট এই ১৩৮ জনের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে বলেছেন, এই ১৩৮ জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য নতুন করে আবেদন জমা দিতে পারবেন এবং কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী সেই আবেদন বিবেচনা করবে।

ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন বলেন, 'হাইকোর্টের এই রায়ের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এখন সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে পারবে।'

রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

২০২১ সালের ৩১ আগস্ট জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

রিট আবেদনের শুনানির সময় ক্যাবের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টকে বলেন, সাবেক উপাচার্য আবদুস সোবহান তার মেয়াদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর বিধান লঙ্ঘন করে ২০২১ সালের ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর জন্য তিনি শিক্ষক নিয়োগ নীতি, ২০১৭ প্রণয়ন করেন।

হাইকোর্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতি, ২০১৭ বাতিল করেছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

2h ago