কিছুই পেল না ‘কিংস পার্টি’

kings-party
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বল্প পরিচিত দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে অবশেষে। গতকাল জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪ দলীয় জোটের তিন শরিক দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।

গতকাল জাপাকে ২৬ ও শরিকদের ছয় আসন বরাদ্দ দেওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার যে, আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মতো 'কিংস পার্টি' ক্ষমতাসীন দল থেকে কোনো নির্বাচনি সুবিধা পাচ্ছে না।

এমনকি এসব দলের শীর্ষ নেতাদেরও জয় পেতে হলে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

কেন সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি, জানতে চাইলে এসব দলের নেতারা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তারা কখনোই 'আসন ভাগাভাগি' প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন না।

ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার দাবি করেন, তারা কখনোই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করতে চাননি।

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের কাছে আমরা যা চেয়েছিলাম, তা হলো নির্বাচন ও আমাদের প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই আশ্বাস দিয়েছিলেন, যার জন্য আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

জনগণের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। একইসঙ্গে ভোটারদের প্রতি তাদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি।

একই কথা বলেছেন বিএনএম মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাহান।

একাধিকবার চেষ্টা করেও বিএসপির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

এর আগে, বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে ছোট দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ানো হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে যেকোনো নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলোর পাশাপাশি আরও কয়েকটি দল।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

8h ago