অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ২ সিআইডি সদস্য গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুই সদস্যসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সিআইডির উপপরিদর্শক রেজাউল করিম, কনস্টেবল আবু সাইদ ও মো. শরীফ হোসেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ আজ সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে একজনকে অপহরণ, ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়, ব্ল্যাঙ্কচেক নেওয়া ও হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিবি প্রধান জানান, এ ঘটনায় গত ৩ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার অপর ২ অপহরণকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি সদস্যসহ ৩ জনকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ৭ অক্টোবর বিকেলে অপহরণকারীদের একজন তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করে তার ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চায়। পরে ওই রাতে, অন্য একটি নম্বর থেকে কল করে সিআইডির 'ওসি রবিউল' পরিচয় দিয়ে পরদিন দুপুরের মধ্যে মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে যেতে বলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পরদিন সকালে সিআইডির পোশাক ও হেলমেট পরা ৪ জন মোস্তাফিজুরের বাসায় গিয়ে দরজায় নক করে। দরজা খুলে দিলে তারা মোস্তাফিজুরকে বাসার নিচে নিয়ে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পূর্বাচলের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা টাকা চেয়ে তাকে মারধর করে।

এজাহারে আরও বলা হয়, তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হত্যার হুমকি দিয়ে মোস্তাফিজুরের এটিএম কার্ড নিয়ে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা তোলে এবং তার কাছ থেকে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেক নেয়।

পরে তারা মোস্তাফিজুরকে বাসার কাছে দিয়ে আসে এবং ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে সই নিয়ে রাখে। অপহরণকারীরা পরে আবার তাকে ফোন করে এ ঘটনা কাউকে বললে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

যোগাযোগ করা হলে মোস্তাফিজুর ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন তারা ভুয়া সিআইডি। কিন্তু এখন এটা পরিষ্কার যে, সিআইডির সদস্য এই অপরাধে জড়িত।

তিনি বলেন, 'তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।'

Comments

The Daily Star  | English

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

Now