চট্টগ্রাম-২: সুপ্রিম পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজের নির্দেশ আ. লীগ হাইকমান্ডের

সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারী ও খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে দলীয় প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারীর পক্ষে নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, দলীয় হাইকমান্ড গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় নেতাদের বিএসপি প্রার্থী সাইফুদ্দিনের (একতারা) পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেয়।

তবে এ আসনে সংরক্ষিত নারী আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন দলের পক্ষ থেকে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়নি।   

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার ফোনে আমাকে বিএসপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা আমাকে বলেছেন, এটা দলের সিদ্ধান্ত।'

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পেয়ারুল ইসলামও জানান, দলের হাইকমান্ড তাকে বলছে, দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা যেন বিএসপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।

কখন এই নির্দেশ পেয়েছেন? জানতে চাইলে পেয়ারুল বলেন, 'বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।'

হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা হঠাৎ করে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। চট্টগ্রাম-২ আসনটি বিএসপি প্রার্থীকে ছেড়ে দিয়ে দলের প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা ছিল, কিন্তু কোনো কারণে সেই সিদ্ধান্ত আগে বাস্তবায়ন হয়নি।'

এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমে কিছু বলবেন না।

তিনি বলেন, 'আমি এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য নয়।'

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সাড়া না দেওয়ায় খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও সাইফুদ্দিন আহমেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এই আসনে আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী, যিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যও।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago