পদ্মা সেতু প্রকল্পের নামে আনা পণ্য বিক্রি: সিনোহাইড্রোকে শোকজ

পদ্মা সেতুর জন্য আনা এসব ক্রেনের কয়েকটি বিক্রি করে দেয় সিনোহাইড্রো। ছবি: স্টার

পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় পুনঃরপ্তানির শর্তে আমদানি করা পণ্য ফেরত না নেওয়ায় চীনা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।

গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার ৮টি চালানের জন্য পৃথক ৮টি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কাস্টমস। পুনঃরপ্তানির শর্তে আমদানিকৃত পণ্য পুনঃরপ্তানি বা সময় বৃদ্ধির আবেদন না করায় এ নোটিশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটিরে বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, নোটিশে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব চাওয়া হয়। এসময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কোনো জবাব না দিলে আমদানি নথিতে রক্ষিত দলিলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, আমদানিকৃত পণ্যগুলোর পুনঃরপ্তানির মেয়াদ শেষ হলেও তা পুনঃরপ্তানি বা মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন না করায় তা কাস্টমস অ্যাক্ট-১৯৬৯ এর সেকশন ১৫৬ (১) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমদানির শর্ত লঙ্ঘন করায় আমদানি পর্যায়ে যে পরিমাণ শুল্ক-কর মওকুফ পেয়েছে, তা আদায়সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এ কে এম খায়রুল বাসারের সই করা নোটিশে আরও বলা হয়েছে, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তিগত শুনানি করতে চাইলে তা লিখিত জবাবে উল্লেখ করতে হবে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, আমদানির শুরু থেকে যতগুলো চালানে শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করা হয়েছে, তার সবগুলোর জন্য আলাদা আলাদা শোকজ করা হবে। এমন চালানের সংখ্যা প্রায় এক হাজারের বেশি হবে বলে জানান তদন্ত কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা।

গত শনিবার দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড শুল্কমুক্ত সুবিধায় গত ৯ বছরে প্রায় ১০৩ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও আনুষঙ্গিক পণ্য আমদানি করেছে। শর্ত ছিল, এসব পণ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের কারও কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। তা সত্ত্বেও কোম্পানিটি দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে অনেক মালামাল বিক্রি করেছে এবং এখনো করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago