মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হক ১৮ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গতকাল লিখিত অভিযোগ করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন, কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজের সহকারী অধ্যাপক তৈমুর রহমান, প্রভাষক এরশাদুল হক, মাহবুবুর রহমান, গোলাম ফারুক, মোফাজ্জল হোসেন, লুৎফর রহমান, জাকির হোসেন, মাহবুবুল আলম, ত্রিলোচন চন্দ্র সরকার, খাদিমুল বাশার, ঈমান আলী, লিপিকা চৌধুরী, আসাদুজ্জামান এবং কালীগঞ্জ তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার রায়, তপন কুমার রায় ও প্রভাষক আব্দুল লতিফ, পবিত্র কুমার রায় ও নুর ইসলাম।

অভিযোগে তাদের মধ্যে এরশাদুল হক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর শ্যালক, গোলাম ফারুক নিকট আত্মীয় ও লিপিকা চৌধুরী মন্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজ ও মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠান দুটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মন্ত্রীর অনুগত। তারা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এসব প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মন্ত্রীর পক্ষে ভূমিকা রাখবেন এবং ভোট কারচুপি করবেন।'

তিনি বলেন, 'এসব প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া না হলে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে।'

'শুক্রবার রাতেই আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে আজ শনিবার দুই বার ফোনে কল করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English
The bold move to a flexible exchange rate regime

The bold move to a flexible exchange rate regime

With the central bank agreeing to go for a flexible exchange rate, the IMF will disburse the fourth and fifth instalments in June this year.

10h ago