১২০ কোটি ডলার ঋণ ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ লেখক রবার্ট কিয়োসাকির

সম্পদ গড়ে তোলা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর পরামর্শ দেয়ার জন্য খ্যাত এই উদ্যোক্তা সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম রিলে ও 'ডিসরাপটরস' পডকাস্টে এ কথা জানান।
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড
১২০ কোটি ডলার ঋণ ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ লেখক রবার্ট কিয়োসাকির

ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনার বই 'রিচ ড্যাড, পুওর ড্যাড' লিখে বিশেষ খ্যাতি পান জাপানী বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক রবার্ট কিওসাকি। কিন্তু তিনি নিজেই ১২০ কোটি ডলারের দেনায় আছেন।  

সম্পদ গড়ে তোলা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর পরামর্শ দেয়ার জন্য খ্যাত এই উদ্যোক্তা সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম রিলে ও 'ডিসরাপটরস' পডকাস্টে এ কথা জানান।

১৯৯৭ সালে লেখা বইটি বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি কপিরও বেশি। সেখানে ঋণ ও অর্থ নিয়ে নিজের অভিনব দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেছেন কিয়োসাকি। 'ভালো ঋণ' ও 'খারাপ ঋণ' এর পার্থক্য সেখানে তুলে ধরেছেন তিনি, বলেছেন সম্পদ গড়ার জন্য প্রথমটি একটি সহায়ক উপায় হতে পারে। আরও অর্থ উপার্জন করতে পারে, এমন সম্পদ জোগাড় করার জন্য ঋণ নিলে সেটাকে 'ভালো ঋণ' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কিওসাকি। বিপরীতে, ফেরারি ও রোলস রয়েস গাড়ির মতো বিলাসবহুল উপকরণকে সম্পদ হিসেবে নয়, বরং এক ধরনের দায়বদ্ধতা হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে কিয়োসাকি তার আর্থিক কৌশল নিয়ে সবিস্তারে বলেছেন। নগদ অর্থ সঞ্চয়ের চিন্তাধারায় তার আপত্তি রয়েছে। তিনি পরোক্ষভাবে ১৯৭১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের শাসনামলে স্বর্ণের সঙ্গে টাকার মানগত পার্থক্য তৈরির বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি নগদ অর্থ সঞ্চয়ের প্রথা বদলে সোনা ও রূপায় অর্থ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আমি যদি দেউলিয়া হয়ে যাই, তাহলে ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে যাবে। এটা আমার সমস্যা না'। তার এই সাহসী বক্তব্য তার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দেনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

পডকাস্টে তিনি এই বিতর্কিত মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন।

ইংরেজি থেকে ভাবানুবাদ করেছেন মাহমুদ নেওয়াজ জয়

Comments