সড়ক পথেও বাগড়া দেবে ঘন কুয়াশা, আগামী সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি কমাবে তাপমাত্রা

সড়ক পথেও বাগড়া দেবে ঘন কুয়াশা, আগামী সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি কমাবে তাপমাত্রা
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ধরলাপাড়ে বনগ্রাম এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা | ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুয়াশার কারণে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আকাশ ও নৌ পথে যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রায় প্রতি রাতেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। কুয়াশার কারণে বাতিল হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। দৃষ্টিসীমা কম থাকায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঢাকার পরিবর্তে কলকাতায় নামছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী আরও অন্তত দুই দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উত্তরের অধিকাংশ জেলায় সকাল ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। এছাড়া টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে।'

এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত নিকলীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাটে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্বাভাস বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও কুয়াশা কাটতে সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে পারে।

কুয়াশার কারণে বিমান, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগও সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে এবং কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে গিয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এর আগে পর্যন্ত প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আপাতত কুয়াশা কাটার তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।'

তিনি বলেন, 'কুয়াশার কারণে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল—যশোর ও কুষ্টিয়ার দিকে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়তে পারে।'

'আগামী ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। সেই সময় কোনো কোনো জেলা শৈত্যপ্রবাহের আওতায় চলে আসতে পারে,' ডেইলি স্টারকে বলেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

Comments

The Daily Star  | English

Once a lifeline, Labondaho now a curse

Abdul Aziz once harvested rice in abundance from his fields next to Labondaho, once a picturesque river located in Indrapur, Gazipur’s Sreepur. Today, he stands on cracked earth, nursing losses and lamenting poisoned waters.

14h ago