মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার ফাইল ছবি

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

মির্জা ফখরুলের বয়স ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ বিবেচনায় এবং আমীর খসরুর বিভিন্ন রোগ বিবেচনায় জামিন চেয়ে তাদের আইনজীবী আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এই আদেশ দেন।

এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা নয়টি মামলায় জামিন পান ফখরুল।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেছবাহ জানান, এই জামিনের পরও কারাগারেই থাকবেন ফখরুল। কারণ, আরও একটি মামলায় এখনো জামিন পাননি তিনি।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে কারাগারে রয়েছেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর আইনজীবীর দাবি, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। শুধু রাজনৈতিক হয়রানি করতেই তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষ এই দাবির বিরোধিতা করে বলেছে, মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট দুই জামিনদারসহ ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

পুলিশের ওপর হামলার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা আবেদন করলে ১৮ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ওই দিন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান ম্যাজিস্ট্রেট।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর নির্দেশে পল্টন মডেল থানার সামনে জড়ো হন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এরপর তারা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করে, থানায় হামলা করে, পুলিশ কর্মীদের লাঞ্ছিত করে এবং তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।

এ ঘটনায় মির্জা ফখরুল, আমীর খসরুসহ ১০২ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করে পুলিশ।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৩ নভেম্বর গুলশান থেকে আমীর খসরুকে আটক করে গোয়েন্দারা। পরে ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

14h ago