তানজিদ-জাদরানের ব্যাটে ঢাকাকে উড়িয়ে দিল চট্টগ্রাম

Tanzid Hasan Tamim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

কুয়াশায় ঢাকা দিনে মন্থর উইকেটে দুর্দান্ত ঢাকাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন কনকাশন বদলি নামা লাসিথ ক্রসপুল। তবে লড়াই শেষ পর্যন্ত হয়নি। তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভালো শুরু পর শেষ দিকে ঝড় তুলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান করে ঢাকা। ১০ বল বাকি থাকতে ওই পুঁজি টপকে যায় চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।

দলের জয়ে ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন তানজিদ। ১৯ বলে ৩২ করে অপরাজিত থাকেন নাজিবুল্লাহ।

১৩৭ রান তাড়ায় শরিফুল ইসলামের প্রথম ৫ বল থেকেই আসে ১৯ রান, শেষ বলে আউট হয়ে যান তিন বাউন্ডারিতে শুরু করা আবিস্কা ফার্নেন্দো।  আগের দুই ম্যাচে রান না পাওয়া ইমরানুজ্জামান তিনে নেমে টিকেছেন তিন বল।

এরপর তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে এগুতে থাকে চট্টগ্রাম। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তানজিদ দ্রুত তান বের করলেও দিপু ছিলেন আড়ষ্ট, অনেকটা সময় নিয়ে নেন তিনি।

থিতু হয়েও পরে ইনিংস বড় করা হয়নি তার। উসমান কাদিরের লেগ স্পিনে পয়েন্টে ক্যাচ উঠিয়ে বিদায় নেন ৩১ বলে ২২ করে। জুতিতে ৫২ বলে ৫৩ রানের মধ্যে ২১ বলে ২৯ যোগ করেন তানজিদই। তবে ফিফটি থেকে এক রান আগে তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে থামেন এই ব্যাটার।

রান তাড়ার চাপ এতটা ছিলো না, সেই চাপ আরও উবে যায় নাজিবুল্লাহর ব্যাটে। অধিনায়ক শুভাগত হোমকে নিয়ে ১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি।

দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন দানুশকা গুনাথিলেকা। তিনে নেমে সাইফ হাসান হয়ে পড়েন জড়সড়ো, রান বের করতে পারছিলেন না নাঈম শেখও। মন্থর ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তুলে স্রেফ ২৫ রান। সাইফকে আল-আমিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ফেরান শুভাগত হোম।  এরপর নাঈমও নিহাদুজ্জামানের শিকার হলে বিপর্যয় আরও বেড়ে যায়।

মিডল অর্ডারে দলটির ভরসা হতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান আলেক্স রস। গুনাথিলেকার কনকাশন বদলি হিসেবে নামানো লাসিথ ক্রসপুলকে। তিনি ১৫ জনের খেলোয়াড় তালিকায় ছিলেন না।

চরম বিপর্যস্ত ঢাকাকে নিয়েই বদলে দেন। ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে গড়েন ৪৯ বলে ৭৩ রানের জুটি। যাতে ৩১ বলে ৪৬ করে বড় অবদান শ্রীলঙ্কানের। শুক্কুর পরে আউট হন ২৬ বলে ২৭ করে। এই দুজনের প্রতিরোধের পর শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ৯ বলে ১৫ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিলো ঢাকা। এক পর্যায়ে একশোর আশেপাশে আটকে থাকার শঙ্কা কাটিয়ে ম্যাচ জমার আভাস তৈরি করেছিলো তারা। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে উইকেটের জড়তা কেটে যাওয়ায় চট্টগ্রামের কাজটা হয়েছে সহজ।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

11h ago