বিদেশিরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি: সালাউদ্দিন

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্কোয়াডে বরাবরে মতন এবারও ছিলো বড় বড় নাম। আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, সুনিল নারাইন, জনসন চার্লস। আগে এই তারকারা কুমিল্লাকে বড় সাফল্য এনে দিলেও এবার তারা ব্যর্থ।
Andre Russell
আন্দ্রে রাসেলের কাছে আরও বড় চাওয়া ছিল কুমিল্লার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্কোয়াডে বরাবরে মতন এবারও ছিলো বড় বড় নাম। আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, সুনিল নারাইন, জনসন চার্লস। আগে এই তারকারা কুমিল্লাকে বড় সাফল্য এনে দিলেও এবার তারা ব্যর্থ। বিদেশি এই তারকাদের ব্যর্থতার প্রভাব টের পেয়েছে কুমিল্লা। তাদের নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার আক্ষেপে পুড়লেন কুমিল্লা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

শুক্রবার বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাটিং পেয়ে স্রেফ ১৫৪ রান করতে পারে কুমিল্লা। ওই রান ৬ বল আগেই পেরিয়ে যায় বরিশাল।

ওপেনিংয়ে নেমে নারাইন ৪ বলে করেন ৫ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস ১৭ বল খুইয়ে করেন ১৫।  গোটা টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থ মঈন রান আউটে কাটা পড়েন ৬ বলে ৩ রান করে। রাসেল নেমে ঝড় তুললেও শেষ ওভারে প্রত্যাশিত রান করতে পারেননি।

গত আসরের ফাইনালে দলের জয়ের নায়ক ছিলেন চার্লস। এবার একটাও ফিফটি আসেনি তার ব্যাটে। শুরুর দিকে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়েও হতাশ হয় কুমিল্লা। ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস এসে দারুণ খেললেও তাকে প্লে অফে আর পায়নি কুমিল্লা।

টানা দুই শিরোপা ও সব মিলিয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা প্রথম ফাইনাল হারের কষ্ট টের পায়। পরে সংবাদ সম্মেলনে বিদেশিদের পারফর্ম না করার হতাশা প্রকাশ করেন সালাউদ্দিন, 'আমাদের বিদেশিরা সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। যেভাবে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সেটা হয়নি। এমনটা হতেই পারে। তবে স্থানীয়দের নিয়ে আমি খুশি। জেতার জন্য তাদের যে মন মানসিকতা সেটা ঠিক ছিলো। এই ইতিবাচকটা নেওয়া যায়।'

বিদেশিরা পারফর্ম না করায় চূড়ান্ত সাফল্য না পেতে প্রভাব পড়ার কথা স্বীকার করেন কুমিল্লার কোচ,  'কিছুটা তো প্রভাব পড়েছেই। সাধারণত তাদের মধ্য থেকে এক-দুইজন পারফর্ম করলেও কিন্তু ভালো হতো। যেটা তাদের কাছ থেকে আমরা আশা করি। চেষ্টা করব সামনের বছর যেন আরও শক্তভাবে ফিরতে পারি।'

এদিন হারের পেছনে ব্যাটিং ও বোলিং দুই পাওয়ার প্লের খেলাকে দায় দেন সালাউদ্দিন। ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৩ রান তুলে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। বোলিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে দিয়ে দেয় ৫৯ রান, নিতে পারেনি কোন উইকেট, 'আমরা দুইটা পাওয়ার প্লেতে ভালো খেলেনি। ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। ফাইনাল ম্যাচে তো জিততে হলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমরা চাপের মাঝে ছিলাম। দুইটা পাওয়ার প্লেতে ভালো না খেলায় ম্যাচ হেরে গিয়েছি।'

Comments