১০ ডিগ্রি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, গাইবান্ধায় প্রাইমারি স্কুল বন্ধ, হাইস্কুল কিছু খোলা কিছু বন্ধ

গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় খোলা থাকলেও, পাশেই গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী দেখা যায়নি। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

গাইবান্ধায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে উল্লেখ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

অন্যদিকে জেলার উচ্চ বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা না করলেও, অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না।

আজ সোমবার রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল ৯টায় গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল।

গাইবান্ধা কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

কিন্তু, গাইবান্ধা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদ এক বিজ্ঞপ্তিতে গাইবান্ধার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে উল্লেখ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে তাকে ফোন করা হলে, তিনি রিসিভ করেননি। এসএমএস দিয়েও জবাব পাওয়া যায়নি।

পরে গাইবান্ধা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৭টার দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সব স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।'

এদিকে গাইবান্ধায় উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান স্থগিত করা হয়নি। 

কিন্তু, সরেজমিনে গিয়ে জেলা শহরের অধিকাংশ উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দেখা যায়নি। তবে, কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে। 

গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় খোলা থাকলেও, পাশেই গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুর ২টায় গিয়ে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অফিসেও তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৯টায় গাইবান্ধার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি ছিল এবং পরে রোদ উঠলে তাপমাত্রা আরও বাড়ে। এ কারণে আমরা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করিনি।'

'তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করায়, অনেক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সুযোগ নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে গাইবান্ধায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়নি,' বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago