বিপিএল ২০২৪

শীতের দুপুরে হেমন্তের দাপট ছাপিয়ে নায়ক বাবর

Babar Azam & Azmatullah Omarzai
বিপিএলে নেমেই ম্যাচ জেতানো ইনিংস বাবর আজমের। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ধস নামা সিলেট স্টাইকার্সের ইনিংস টেনেছিলেন দুই বিদেশি বেন কাটিং-বেনি হাওয়েল। তবু লড়াইয়ের পুঁজি পায়নি তারা। তবে অল্প পুঁজি নিয়েও রংপুর রাইডার্সকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন রংপুরের শ্রীলঙ্কান লেগ স্পিনার দুশান্ত হেমন্ত। তার দাপট ছাপিয়ে বিপিএলে নেমেই ঝলক দেখিয়েছেন বাবর আজম। আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন জয়।

মঙ্গলবারও দিনের ম্যাচে বিপিএলে বড় রানের দেখা মেলেনি। সিলেটের করা ১২০ রান টপকাতে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর শেষ পর্যন্ত বাবর -ওমরজাইয়ের বীরত্বে রংপুর জিতেছে  ৪ উইকেটে। আগের রাতে ঢাকায় আসা বাবর দলকে জিতিয়ে অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৫৬ রানে। ওমরজাই ৩৫ বলে করেন ৪৭। ম্যাচ শেষ হয় ১০ বল আগেই। 

Dushan Hemantha
উইকেট পেয়ে দুশান হেমন্তের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

মামুলি লক্ষ্যে নেমে কোন চাপ ছিলো না রংপুরের। কিন্তু চাপ যেন নিজেরাই আনল ডেকে। রিচার্ড এনগারাভার বাড়তি বাউন্সে ক্যাচ তুলে বিদায় রনি তালুকদারের। ব্র্যান্ডন কিং নাজমুল ইসলাম অপুর শট বলে লাইন মিস করে বোল্ড। নুরুল হাসান সোহান তানজিম সাকিবের সাদামাটা ডেলিভারিতে ধরা দেন বাউন্ডারি লাইনে।

এরপর হেমন্তের ঝলক। শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার এক ওভারেই পর পর ফেরান শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোহাম্মদ নবি ও শেখ মেহেদীকে। ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভিত নড়ে উঠে রংপুরের।

তবে বাবর টিকেছিলেন, তাকেই ভরসা করে এগুতে থাকে রংপুরের আশা। আফগান অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে পাশে পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক।

পরিস্থিতির দাবি ঠিকমতো পড়তে পেরেছিলেন দুজন। উইকেটেও ছিল না আহামরি কোন বিষ। রানের চাপ তীব্র না থাকায় প্রান্ত বদল করে বলে-রানের হিসাবটা মাথায় রেখেছেন ভালোভাবে। অনেক চেষ্টা করেও তাদের আর আলগা করতে পারেনি সিলেট। ৬৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন তারা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম বিপদে পড়ে সিলেট। দ্বিতীয় ওভারে শেখ মেহেদীর বলে স্টাম্পিং হন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনে নেমে ঝড় তোলার চিন্তায় ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। কিন্তু এই ফাটকা কাজে লাগেনি। ৭ বলে ৬ রান করে তিনি আলসে ভঙ্গিতে হন রান আউট।

ইয়াসির আলি রাব্বি দুই চারে শুরু করেও শিকার শেখ মেহেদীর বলে। মোহাম্মদ নবির শিকার হয়ে ১ রানে থামেন জাকির হাসান। এক প্রান্তে টিকে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত মন্থর গতিতে ২৪ বলে ১৪ করে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় সিলেট।

এরপরই দুই বিদেশীর দারুণ জুটি। বেনি হাওয়েল-বেন কাটিং মিলে যোগ করেন ৬৮ রান। দুজনই করেন ৩৭ করে। দুজনকেই আউট করেন রিপন মন্ডল। শেষ ওভারে একাধিক উইকেট হারিয়ে ১২০ বলের খেলায় ঠিক ১২০ রানে থামে সিলেট।

 

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

3h ago