আর্জেন্টাইন এচেভেরিকে চুক্তিবদ্ধ করল ম্যানচেস্টার সিটি

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে ফুটবল বিশ্বের নজর কাড়েন ক্লদিও এচেভেরি। এরপর থেকেই তার নিজ দেশ আর্জেন্টিনা ছেড়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে পাড়ি জমানোর গুঞ্জন চলছিল। এবার তা রূপ নিল বাস্তবে। তাকে চুক্তিবদ্ধ করল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পরাশক্তি ম্যানচেস্টার সিটি।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ১৮ বছর বয়সী এচেভেরিকে দলে টানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিটিজেনরা। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীদের সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত। তবে এখনই ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দলটিতে যোগ দেবেন না তিনি। আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত থেকে যাবেন আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটেই।

অমিত প্রতিভাবান এচেভেরির জন্য কী পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়েছে তা জানায়নি ম্যান সিটি। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বোনাসসহ তার ট্রান্সফার ফি হতে পারে এক কোটি ২৫ লাখ থেকে এক কোটি ৪৬ লাখ ইউরোর মধ্যে।

সিটিরই সাবেক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্তিন দেমিচেলিস বর্তমানে আছেন রিভারপ্লেটের দায়িত্বে। তার অধীনে গত বছরের জুনে ক্লাব পর্যায়ে অভিষেক ঘটে এচেভেরির। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এরপর গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়াতে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দেন এচেভেরি। কোয়ার্টার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকও করেন তিনি। কিন্তু সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বাদ পড়ে আলবিসেলেস্তেরা।

আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ব্রোঞ্জ বল জিতেছিলেন এচেভেরি। অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের হয়ে খেলা মোট ২৩ ম্যাচে তার গোল ১৩টি। লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়াদের নিয়ে গড়া মূল আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে অনুশীলন করার অভিজ্ঞতাও আছে তার।

কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর্জেন্টাইন স্কোয়াডের সদস্য হুলিয়ান আলভারেজের পদচিহ্ন অনুসরণ করেছেন এচেভেরি। স্ট্রাইকার আলভারেজও রিভারপ্লেট থেকেই ম্যান সিটিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

এচেভেরিকে স্বাগত জানিয়ে তার নতুন ক্লাব নিজেদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, 'ম্যানচেস্টার সিটির সবাই ক্লদিওকে এই ক্লাবে স্বাগত জানাতে উন্মুখ এবং আমরা তাকে রিভারপ্লেটের সাথে তার বাকি সময়ের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

3h ago