বেগমগঞ্জ

অটোরিকশা থামিয়ে চালককে গুলি করল ‘সাদ্দাম বাহিনী’

নোয়াখালী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে চালককে গুলির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাদ্দাম বাহিনীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ মো. শহীদ উল্লাহ (২৫) ওই এলাকার বাসিন্দা। হাতে, বুকে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গুলিবিদ্ধ শহীদ উল্লাহর বড়ভাই মো. মহিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ভাই শহীদ মাদক সেবনে বাধা দিলে, স্থানীয় কিশোর গ্যাং রকি বাহিনী ও সাদ্দাম বাহিনী তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এর জেরে আজ সকালে ভাই অটোরিকশা নিয়ে বের হলে সন্ত্রাসী সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম তার গতিরোধ করে।'

'একপর্যায়ে সাদ্দাম আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শহীদকে লক্ষ্য করে এলাপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে সে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়,' বলেন তিনি।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুরে শহীদ উল্লাহকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার মাথা, বুক, হাত, পিঠসহ সারা শরীরে ছররা গুলির আঘাত আছে। হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।'
  
ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাদ্দামের একটি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী আছে, সদস্য প্রায় ২৫-৩০ জন। এদের প্রধান কাজ ছিনতাই, খুন, মাদক সেবন ও বিক্রি।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপির সাইনবোর্ডধারী সাদ্দাম বাহিনীসহ আলাইয়ারপুরে আরও বেশ কিছু বাহিনী আছে, যাদের কাছে বিপুল অস্ত্র আছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জেনেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে সন্ত্রাসীদের কাছে ইউনিয়নবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে,' যোগ করেন তিনি।

রিকশাচালককে গুলির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমার জানা নেই। তদন্ত শেষে জানা যাবে।'
  
যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গুলির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। নোয়াখালীতে কোনো বাহিনীর অস্তিত্ব রাখা হবে না।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago