বাবর-ওমরজাইয়ের ঝলকের জবাবে ঢাকার অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিং

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সুষম বাউন্সের উইকেট যে রানে ভরা প্রথম ম্যাচেই টের পাওয়া গেছে, শিশির ভেজা মাঠে রাতের আলোয় ব্যাটারদের জন্য কন্ডিশন ছিলো আরও সহায়ক। এমন পরিস্থিতিতে বড় রান তাড়ায় দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটিংয়ে মিলল না কোন ঝাঁজ।

বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের ১৮৩ রান তাড়ায়  মাত্র ১০৪  করতে পেরেছে ঢাকা। শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তারা ম্যাচ হেরেছে ৭৯ রানের  রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে চার ম্যাচ থেকে দুই জয়ে রংপুরের পয়েন্ট চার। প্রথম ম্যাচ জিতে শুরুর পর ঢাকা হারল টানা দুই ম্যাচ।

রংপুরকে জেতাতে ব্যাট হাতে ৪৬ বলে ৬২ করে অবদান পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের। আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমরজাই ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৩২ করার পর ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে মূল নায়ক।

Babar Azam
ফিফটির পথে বাবর আজম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৮৪ রানের লক্ষ্যে ওপেন করতে নেমে প্রথম পাঁচ বলে কোন রান না নিয়েই ফিরে যান দানুশকা গুনাথিলেকা। পাকিস্তানি ব্যাটার সাইম আইয়ুম নেমে কিছু বল দেখে একটা ছক্কা মারেন, পরে আরও দুই চার আসে তার ব্যাট থেকে। তবু ১৪ বলে থামেন কেবল ১৭ রান করে।

আরেক প্রান্তে নাঈম শেখ ছিলেন গুটিয়ে। স্কোরবোর্ডের চাকা নাড়ানোর খুব একটা তাগিদ দেখা যায়নি তার ভেতর। তাকে রেখে ক্রিজে এসেই ফিরত যান লঙ্কান লাসিথ ক্রসপোল।  মোহাম্মদ নবির বলে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে যখন তিনি বদলি ফিল্ডার হাসান মুরাদের হাতে জমা পড়েন তার রান কেবল ৯, খেলে ফেলেছেন ১৫ বল।

অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নেমেও ব্যাট করেন একই তালে। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৫ রান করতে লাগান ১৮ বল।  বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে অস্টেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রস করেন ৩৫ বলে ৫১ রান। তাতে কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু আনেন ব্র্যান্ডন কিং। তবে তিনি টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৩ চার, ১ ছয়ে ১৩ বলে ২০ যোগ করে তাসকিন আহমদের শিকার ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

Azmatullah
উইকেট নিয়ে আজমতুল্লাহ ওমরজাইর উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওপেন থেকে তিনে নেমে পরিস্থিতি বদল হয়নি রনি তালুকদারের। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ওপেনার আরও এক ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন ৭ বলে ১১ করে।

বাবর ছিলেন প্রান্ত ধরে রাখার ভূমিকায়। নিজের কাজটি ঠিকঠাক করতে থাকেন তিনি। এই পথে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৩৯ বলে ৫০ রান। বাবরের মতন সোহানও কুঁকড়ে থাকায় (২৪ বলে ২৬) রানের গতি পড়ে যায়। সেই গতি টেনে তুলেন আফগান অলরাউন্ডার ওমরজাই। বাবরকে নিয়ে এরপর এগুতে থাকেন তিনি। ফিফটির পর ক্যাচ দিয়ে বাবর ফিরলেও ওমরজাই চালিয়ে যান ১৯তম ওভার অবধি। ১৫ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় ৩২ করে তিনি পাইয়ে দেন বড় পুঁজি।

রংপুর ৮ উইকেট হারালেও চোখের সমস্যায় ব্যাট করতে নামেননি সাকিব। এই ঘাটতি পূরণ করতে শামীম পাটোয়ারি অবশ্য ৮ বলে ১৭ করে রাখেন ভূমিকা। ঢাকার তাসকিন আহমেদকে ২ ওভার বল করে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পর আর ফিরতে দেখা যায়নি। তার ঘাটতির ওভারগুলো পুরো করতে এসে বেদম মার খান আলাউদ্দিন বাবু। ৪ ওভারে তিনি দেন ৪৩ রান।

একাধিক মিসফিল্ডিংয়েও তালগোল পাকানো ঢাকাকে ম্যাচের কোন ধাপেই মনে হয়নি তারা লড়াই করতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English
Eid-ul-Azha 2025

Main Eid congregation held at National Eidgah

With due religious solemnity and fervour, the main congregation of Eid-ul-Azha was held at the National Eidgah.

49m ago