বিপিএল ২০২৪

মিঠুন-এনগারাভার ঝলকে ঢাকাকে গুঁড়িয়ে সিলেটের প্রথম জয়

Richard Ngarava
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

একের পর এক হারে বিধ্বস্ত অবস্থা হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। টানা পাঁচ হারের পর রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সরে যান নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে ভাষার মাসের থিম নিয়ে নতুন জার্সিতে ভাগ্য বদলালো তাদের।  গত বিপিএলের ফাইনিষ্টরা ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে পেল জয়ের দেখা। এই টুর্নামেন্টে ধুঁকতে থাকা দুর্দান্ত ঢাকাকে গুঁড়িয়ে জিতেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার সিলেট জিতেছে ১৫ রানে। আগে ব্যাট করে মিঠুনের ৫৯ রান ও আরিফুল হকের ক্যামিওতে ভর করে ১৪২ পুঁজি পায় স্বাগতিক দল। পরে রিচার্ড এনগারাভার বাঁহাতি পেসে তছনছ হয়ে যায় ঢাকার ইনিংস, তারা গুটিয়ে ১২৭ রানে। ৪ ওভার ব্যাট করে  ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন এনগারাভা।

১৪৩ রান তাড়ায় বাজে শুরু হয় ঢাকার। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন পাকিস্তানি সাইম আইয়ুব। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা নাঈম শেখ এদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এই দুজনকেই ফিরিয়ে সিলেটকে দারুণ শুরু এনে দেন জিম্বাবুয়ের পেসার এনগারাভা।

তিনে নামা সাইফ হাসান আর অ্যালেক্স রস মিলে প্রতিরোধের চেষ্টায় ছিলেন। ৩১ রানের জুটি পেলেও তাতে তারা লাগিয়ে ফেলেন ২৮ বল। ১৯ বলে ১৭ করে সাইফ রান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সঙ্গীর বিদায়ের পর ১৮ বলে ২০ করা রসকে শিকার ধরেন রেজাউর রহমান রাজা। আফগানিস্তানের গুলবদিন নাইবকে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে দলে নিয়েছিল ঢাকা। ভারতের বিপক্ষে কদিন আগে দারুণ খেলা এই ব্যাটার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ। তিনি ১২ রান করেছেন ১৮ বল খুইয়ে। তার আগে ৯ বল নষ্ট করে ৪ রান করে বিদায় নেন ইরফান শুক্কুর। মাঝের ওভারের এই মন্থর ব্যাটিং দলটির ভিত এলেমেলো করে দেয়। 

Sylhet Strikers
ভাষার মাসে বাংলায় নাম লেখা জার্সি পরে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ছবি: স্টার

মিডল অর্ডারে নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। চরম ব্যাটিং ধসে একশোর আগেই ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। ম্যাচের সব উত্তেজনাও মাটি হয়ে যায় ততক্ষণে।

এদিন আগে ব্যাটিং পেয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সও। পাওয়ার প্লের মধ্যেই আউট হয়ে যান তিন টপ অর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত, শামসুর রহমান শুভ ও ছন্দে থাকা জাকির হাসান। তিনজনকেই বোল্ড করেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।

বিপিএলে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা শান্ত এদিনও ফেরেন দুই অঙ্কের আগে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি শুভ ও জাকির। ১৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সামিত প্যাটেলকে নিয়ে দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মিঠুন। দুজনের জুটিতে ৪৯ বলে আসে ৫৭ রান। ৩২ বলে ৩২ করা সামিতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি।

এরপর রায়ান বার্ল, বেনি হাওয়েলরা না পারলেও মিঠুনকে দারুণ সঙ্গ দেন আরিফুল হক। স্লগ ওভারে ১৩ বলে ২৭ রান যোগ করে দলকে লড়াইয়ে ফেরান তারা। ৯ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আরিফুল। শেষ ওভারে ফেরার আগে ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কায় মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। প্রথম ১০ ওভারে ধুঁকতে থাকা স্বাগতিক দল শেষ ১০ ওভারে মোড় ঘুরিয়ে ফেলে।

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

15h ago