হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ডা. এজাজের বই

ছবি: সংগৃহীত

টিভি নাটকের জনপ্রিয় মুখ ডা. এজাজ। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

ডা. এজাজ পেশায় একজন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে রাজকুমার সিনেমায় অভিনয় করছেন।

এবারের অমর একুশে বইমেলায় হ‍ুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ডা. এজাজের লেখা স্মৃতিগ্রন্থ ‌'আমার হ‍ুমায়ূন স্যার' প্রকাশিত হয়েছে। এটিই তার প্রথম বই।

বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন আরাফাত করিম।

বই প্রকাশের পর কয়েকদিন বই মেলায় গিয়েছেন ডা. এজাজ। 'সময়' এর প্যাভিলিয়নে বসে পাঠকদের অটোগ্রাফও দিয়েছেন।

প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'খুবই সুখের অনুভূতি। ভীষণ ভালো লাগছে। লেখক হিসেবে চমৎকার অনুভূতি কাজ করছে। স্টলে বসে দেখছি বইটি পাঠকরা দেখছেন, কিনছেন। এটা আনন্দের ঘটনা। কেননা, পাঠকের জন্যই এটি লিখেছি।'

পাঠকের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'পেয়েছি। একজন পাঠক জানিয়েছেন, বইটি পড়ে তিনি কেঁদেছেন। কয়েকজন তাদের ভালোলাগার কথাও জানিয়েছেন। এইসব মন্তব্য আমাকে লিখতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।'

বই লেখার অনুপ্রেরণা নিয়ে ডা. এজাজ বলেন, 'লেখার অনুপ্রেরণা হুমায়ূন আহমেদ স্যার। পাঠক তার কোনো নতুন লেখা পাচ্ছেন না। আর পাবেনও না। কিন্তু তার রেখে যাওয়া বইগুলো এখনো সমানে বিক্রি হচ্ছে। স্যারের নতুন লেখা পাব না -ওই তাগিদটা কাজ করেছে।'

নিয়মিত লেখালেখির বিষয়ে তিনি বলেন, 'এখন থেকে নিয়মিত লেখালেখি করব। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি লিখব। স্যারকে নিয়ে যে বইটি লিখেছি সেখানে অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে। অসংখ্য স্মৃতি তার সাথে। সেসব লিখব। ইচ্ছে আছে পরের বই মেলায় স্যারকে নিয়ে আরেকটি বই লিখব।'

লেখক জীবন কতটা উপভোগ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'দেখুন, একজন ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখে শান্তি পাই। রোগী এলে কখনো না করি না। তারপর ধরুন, অভিনয় করে শান্তি পাই। বই লিখেও শান্তি পেয়েছি। ভীষণ উপভোগ করছি।'

বই মেলায় গিয়ে কাকে সবচেয়ে বেশি মনে পড়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এজাজ বলেন, 'অবশ্যই হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে। একুশে বই মেলার সাথে আমার বহু বছরের যোগাযোগ। এখন আমি মেলায় যাচ্ছি, কিন্তু স্যার নেই, এটা কষ্ট দেয়। যিনি বইমেলাকে এতটা সমৃদ্ধ করে গেছেন-তিনিই নেই।'

বইটি লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, 'অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম। তারপর সময় করে লিখতে শুরু করি। স্যারের কথা পাঠককে জানাতে চাই। স্যারের সঙ্গে আমার মধুর সম্পর্ক ছিল। পাঠককে সেসব কথা জানাতে চাই। সেজন্যই পরের বছর স্যারকে নিয়ে আরও লিখব।'

Comments

The Daily Star  | English

US lowers Bangladesh tariff to 35% from 37%

Failure to secure a more favourable bilateral agreement by the Aug 1 deadline would be a significant blow to the country's export-oriented economy

3h ago