লিটনের রানে ফেরার দিনে খুলনাকে বিধ্বস্ত করল কুমিল্লা

Litton Das
দলের সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক লিটনের। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টানা পাঁচ ম্যাচ ব্যর্থতার পর জ্বলে উঠল লিটন দাসের ব্যাট। ফিফটি না পেলেও তার আগ্রাসী শুরু গড়ে দিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জুতসই পুঁজির ভিত। দেড়শোর চ্যালেঞ্জ দিয়ে আমির জামালের তোপে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে বড় জয় পেয়েছে তারা।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ কুমিল্লা জিতেছে ৩৪ রানে। আগে ব্যাটিং বেছে কুমিল্লার করা ১৪৯ রানের পুঁজির জবাবে ১১৫ পর্যন্ত যেতে পেরেছে খুলনা। দলের দেড়শো ছুঁইছুঁই পুঁজিতে বড় অবদান অধিনায়ক লিটনের। ২ চার, ৪ ছক্কায় ৩০ বলে ৪৫ করেন তিনি। বোলিংয়ে কুমিল্লার হিরো পাকিস্তানি পেসার জামাল। ২৩ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। 

এই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম চার ম্যাচ জেতার পর টানা দুই হারে খুলনা নেমে গেল চারে।

দেড়শো রানের লক্ষ্যে এনামুল হক বিজয় ঝড়ো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। ৩ চার, এক ছক্কায় ১২ বলে ১৯ করে আলিস আল ইসলামের সোজা বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান খুলনা অধিনায়ক।

তিনে নেমে আরও একবার ব্যর্থ আফিফ হোসেন। ৯ বল খুইয়ে ৫ রান করে সহজ ক্যাচে বিদায় নেন উইল জ্যাকসের বলে। আকবর আলি ক্রিজে এসেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে খুশদিল শাহ ক্যাচ ফেলে দিলেও বেশি আগানো হয়নি তার। মোস্তাফিজের বলেই ফ্লাই স্লিপে ধরা দেন ৫ রান করে।

তানবীর ইসলামের বলে পারভেজ হোসেন ইমন উইকেটের পেছনে ধরা দিলে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা।

এক পাশে উইকেট পতনের স্রোতে স্ট্রাইক পাচ্ছিলেন না এভিন লুইস। স্ট্রাইক পেয়ে এক ছক্কা মেরেই থেমে যান ক্যারিবিয়ান বিস্ফোরক ব্যাটার। নবম ওভারে ১৪ বলে ১০ রান করে আমির জামালের বলে ক্যাচ তুলে দেন বাঁহাতি ওপেনার। তার বিদায়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। বাকিটা সময়ে ম্যাচে ছিলো না কোনই উত্তাপ। খুলনার বাকি ব্যটাররা স্রেফ হারের ব্যবধান কমিয়েছেন।

দুপুরে টস জিতে ব্যাটিং বেছে ভালো শুরু পায় কুমিল্লা। আগের পাঁচ ম্যাচে স্রেফ ৩৭ রান করেছিলেন লিটন। চরম রান খরায় থাকা কুমিল্লা অধিনায়ক এদিন ফিরে পান ছন্দ। চার-ছয়ের ঝলকে পাওয়ার প্লে কাজে লাগান তিনি।

আরেক প্রান্তে রিজওয়ান ছিলেন মন্থর। ফলে লিটনের ঝড়ের পর রানের চাকা যেভাবে চলার কথা সেভাবে চলেনি। লিটন থামেন দশম ওভারে। নাসুম আহমেদের আর্ম বলে বোল্ড হয়ে ৩০ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি ওপেনার।

খানিক পর বিদায় নেন রিজওয়ানও। ২৮ বল খুইয়ে ২১ রান করা পাকিস্তানি ব্যাটারকেও ফেরান নাসুম।

ইংলিশ ব্যাটার উইল জ্যাকস আগের রাতে দলে যোগ দিয়ে নেমেছিলেন খেলতে। সুবিধা করতে পারেননি। ২৭ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন ওয়াসিম জুনিয়রের বলে। এদিন তাওহিদ হৃদয় ব্যাটও ছিলো নিষ্প্রভ। কুমিল্লার রান দেড়শোর কাছে যায় মূলত জাকের আলি অনিক আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ছোট দুই ক্যামিওতে। জাকের ৮ বলে করেন ১৮, অঙ্কন ১০ রান আনেন ৫ বলে। শেষ পর্যন্ত এই পুঁজিই হয়ে যায় ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago