হৃদয়ের কাছে এই সেঞ্চুরিও ‘স্পেশাল’ নয়

tawhid ridoy
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

ঝিমিয়ে পড়া বিপিএল যেন মাতিয়ে দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। দেশি ব্যাটারদের আড়ষ্টতার ভিড়ে দ্যুতিময় ব্যাটিংয়ে রাজকীয় দাপট দেখিয়েছেন বাইশ গজে। আসরের প্রথম ও টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করে আলো ছড়িয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়ে। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেও ডানহাতি ব্যাটার বলছেন, তার কাছে এই সেঞ্চুরিও স্পেশাল নয়, এরচেয়েও স্পেশাল সেঞ্চুরি তার আছে।

শুক্রবার রাতে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১৭৬ রানের লক্ষ্যে হৃদয় দেখান ঝলক। ৫৭ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান তিনি।  ৮ চারের সঙ্গে মারেন ৭ ছক্কা। অথচ বড় লক্ষ্যে এক পর্যায়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে ছিলো কুমিল্লা। ম্যাচ সেরা হয়ে এসে জানালেন এক পাশে উইকেট পড়লেও মেরে খেলার চিন্তা থেকে তিনি সরেননি, 'সেঞ্চুরি তো প্রতিটি ব্যাটারের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রথম থেকে চেষ্টা করেছি আক্রমণাত্মক খেলবো। কারণ রান ছিল  ১৭০ প্লাস, যদি ওখানে দুই তিনটা ওভার ব্যাকফুটে যাই...উইকেট চলে গেছে এটা আমার হাতে নেই। আমার যে প্লান ছিলো সেটাই প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।'

দলকে জেতানোর পথে বিদেশি ব্রুক গেস্টের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে আনেন ৮৪ রান। কুমিল্লার ইনিংসে এই দুজন ছাড়া দুই অঙ্কের রান নেই আর কারোরই। ব্রুক আউট হওয়ার পর তাই বাকিটা সময় কাজটা সারতে হয়েছে হৃদয়কে একা। এভাবে রান উঠিয়ে এক পর্যায়ে যে তিন অঙ্কের কাছে চলে গিয়েছিলেন টেরই পাননি তিনি, 'সত্যি কথা বলতে আমি সেঞ্চুরির জন্য খেলিনি। নব্বুইর পরেও সেঞ্চুরির কথা মাথায় ছিলো না। আমি চেয়েছি খেলাটা শেষ করতে। বাজে বল বাউন্ডারি মারতে চেয়েছি।'

একক নৈপুণ্যে দল জেতানো এমন এক সেঞ্চুরি যে কারো কাছে বিশেষ হওয়ার কথা। ২৩ পেরুনো ব্যাটার বলছেন ভিন্ন। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে একবার টানা তিনটা সেঞ্চুরি করেছিলেন, তার কাছে সেই শতকগুলোই বিশেষ হয়ে আছে,  'না আমার প্রত্যেক সেঞ্চুরিই আমার কাছে স্পেশাল। তবে স্পেশাল যদি বলি আন্ডার নাইনটিনে টানা তিন ম্যাচে তিনটা সেঞ্চুরি করেছিলাম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এটা আমার কাছে স্পেশাল থাকবে কারণ টানা তিন ম্যাচে তিনটা সেঞ্চুরি করেছিলাম এটা অনেক বড় অর্জন ছিলো।'

গত বছর বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম আভিজাত্য দেখান হৃদয়। সেবার সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও আক্ষেপে পুড়েছিলেন। এবার পূর্ণতা পেয়েছেন। উপরে (তিন নম্বর) ব্যাট করার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। এজন্য কুমিল্লার টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তরুণ ব্যাটার, 'টি-টোয়েন্টিতে প্রথম শতক আলহামদুলিল্লাহ। এটা তো প্রতিটা ব্যাটারেরই স্বপ্ন যে একটা সেঞ্চুরি করবে। গত বছর আমার সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি করার, কিন্তু করতে পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ যে একটা সেঞ্চুরি হয়েছে। '

'দল থেকে সুযোগ পেয়েছি উপরে ব্যাট করার। গত বছর তো উপরে খেলেছিলাম। মাঝের খেলা এক রকম। উপরে খেলা এক রকম। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই কোচ ও অধিনায়ককে যারা আমাকে এই সুযোগ দিয়েছেন। আমি সুযোগ কাজে লাগেতে চেয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Are we trying to get ‘everything, everywhere, all at once’?

The euphoria of August 5, and the momentous days leading up to it, especially since July 15, are now being overshadowed by a cloud of uncertainty.

6h ago