তারপরও জাভির কণ্ঠে শিরোপার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

ছবি: এএফপি

পয়েন্ট তালিকায় ১৯ নম্বরে থাকা গ্রানাদার বিপক্ষে হারতে হারতে ড্র করেছে বার্সেলোনা। আরেকটি হতাশাজনক ফলে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আরও পিছিয়ে পড়েছে তারা। তারপরও দলটির কোচ জাভি হার্নান্দেজের কণ্ঠে শোনা গেছে এখনই হাল না ছাড়ার প্রত্যয়।

রোববার রাতে অলিম্পিকে স্টেডিয়ামে দেখা মিলেছে রোমাঞ্চকর একটি ম্যাচের। জমজমাট লড়াইয়ে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সা ও গ্রানাদা। পয়েন্ট হারানোয় লিগের শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে জাভির শিষ্যদের ব্যবধান আরও বেড়েছে। ২৪ ম্যাচে রিয়ালের অর্জন ৬১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ খেলে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে বার্সেলোনা। ৫৬ পয়েন্ট পাওয়া জিরোনা চমক দেখিয়ে অবস্থান করছে দুইয়ে।

ঘরের মাঠে লামিনে ইয়ামাল প্রথমার্ধের শুরুর দিকে বার্সাকে এগিয়ে দেওয়ার পর বিরতির আগেই সমতা টানেন রিকার্দ সানচেজ। দ্বিতীয়ার্ধের এক পর্যায়ে ছয় মিনিটের মধ্যে হয় তিন গোল। ফাকুন্দো পেলিস্ত্রি গ্রানাদাকে লিড পাইয়ে দেওয়ার পর গোল শোধ করেন রবার্ত লেভানদোভস্কি। এরপর ইগনাসি মিকেল লক্ষ্যভেদ করলে ফের সফরকারীরা এগিয়ে যায়। শেষমেশ ৮০তম মিনিটে ইয়ামাল ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করলে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ গোপন করেননি জাভি। পাশাপাশি ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে শোনান আশার গান, 'সফল হতে পারব না ভেবে চেষ্টা না করার কোনো ভাবনা আমাদের নেই। আমরা লিগ শিরোপা জয়ের আশা ছাড়ছি না। তবে আমরা জানি, এটা ভীষণ কঠিন হবে।'

পয়েন্ট খোয়ানোর পেছনে রক্ষণভাগের দায় দেখেন বার্সেলোনার কোচ, 'আক্রমণভাগে আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু রক্ষণভাগে অনেক বাজে ভুলও করেছি। ফলে রিয়াল ও জিরোনার চেয়ে পিছিয়ে পড়েছি আমরা। এক পয়েন্ট মোটেও যথেষ্ট নয়।'

শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান আরও বাড়াতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ ঝরান বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জাভি, 'ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করার জন্য খেলতে হবে আমাদের। আর শুরুর দিকে এগিয়ে গেলে আরও বেশি করে সেটার চেষ্টা করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Persecuted by Arakan Army, Rohingyas fleeing to Bangladesh

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

1h ago