নিকো ঝড়ে কাঁপল সান মামেস, বার্সার অপূর্ণ স্বপ্নে বাড়ল হাহাকার

মৌসুমের সূচনালগ্নে যেন ঝড় হয়ে এসেছেন নিকো উইলিয়ামস। তার ভাই ইনিয়াকি যাকে নতুন করে নাম দিয়েছেন 'স্টারবয়', সেই নিকো হয়ে উঠলেন আরও দাপুটে। গত বছর থেকে এ বছর পর্যন্ত ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের অফিসে তার নাম ঘুরপাক খেয়েছে তা বুঝিয়ে দিলেন আরও একবার।
এবার নিকোকে দলে টানতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল বার্সেলোনা। একাধিকবার লাপোর্তার টেবিলে তার নাম উঠেছে, আলোচনার টানাপোড়েনও চলেছে দীর্ঘদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। নিকো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কাতালুনিয়া নয়, তার ঘর অ্যাথলেটিক বিলবাওই। নিজের রাজত্ব গড়বেন সান মামেসেই। প্রথম ম্যাচে তার বিস্ফোরক পারফরম্যান্স যেন বার্সেলোনার আফসোসকেই আরও বড় করে তুলেছে।
'সে অ্যাথলেটিকের কিংবদন্তি হতে চায়,' বললেন ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক মাইক গনসালেস, সেভিয়ার বিপক্ষে লা ক্যাথেড্রালে মৌসুম শুরুর ম্যাচের আগে। নিকোর নিজের কণ্ঠেও একই দৃঢ়তা, 'আমি এখানেই ইতিহাস লিখতে চাই।' তবে আস্তে নাগুসিয়ার উচ্ছ্বাস নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছিল সফরকারীরা, তখনই নিকো বদলে দিলেন সবকিছু। যেন জানিয়ে দিলেন ইতিহাস লিখেই তবে থামবেন।
প্রথমে হঠাৎ চতুরতার সঙ্গে বল পায়ে নিয়ে ফাউল আদায় করে নিলেন জুয়ানলুর কাছ থেকে। রেফারি দিলেন পেনাল্টি। শট নেওয়ার দায়িত্ব ছিল ইনিয়াকির, কিন্তু তিনি বল তুলে দিলেন ছোট ভাইয়ের হাতে, দিনের প্রকৃত নায়ককে। নিকো নিখুঁতভাবে গোল করলেন, ক্ষিপ্ত উল্লাসে বুকে থাকা প্রতীকী ক্রেস্টে চুমু খেলেন, খুব তাৎপর্যপূর্ণ এক মুহূর্ত।
এরপর যখন ম্যাচ ড্র হওয়ার পথে, শেষ শক্তি ঢেলে এক চমৎকার অ্যাসিস্ট উপহার দিলেন নাভারোর কাছে। তিনি সেমি-ভলিতে গোল করে জয় নিশ্চিত করলেন। এর আগেই নিকোর আরেকটি নিখুঁত ক্রস থেকে সান্নাদি করেছিলেন ২-০।
প্রথমার্ধে জোড়া গোলে এগিয়ে গেলেও এক পর্যায়ে সেভিয়ার খেলায় ধার ছিল বেশি। তাতে ফেরে সমতা। তবু শেষ হাসি ছিল অ্যাথলেটিকের। শেষ দিকে বাঁ প্রান্ত থেকে বেগে উঠে ডিফেন্স চিরে দিলেন নিকো। লাইন পর্যন্ত গিয়ে নিখুঁত পাস দিলেন নাভারোর উদ্দেশে। নাভারো, যিনি সদ্য অভিষেক ম্যাচ খেলছেন, দারুণভাবে গোল করলেন। এই প্রদর্শনী শুধু তিন পয়েন্টই নয়, বরং পুরো দলকেই ফিরিয়ে দিল আত্মবিশ্বাস।
Comments