দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সরকার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, 'প্রাথমিক লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।'

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, 'আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র পরিষ্কার হবে।'

আজ সোমবার সংসদে অধিবেশনে কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সোহরাব উদ্দিন বলেন, ডলার সংকট ও মানি লন্ডারিংয়ের কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। মানি লন্ডারিংয়ের কারণে অর্থের সংকট মোকাবিলায় বৈধকরণের জন্য অপ্রদর্শিত অর্থের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। অতীতেও বিশেষ ব্যবস্থায় এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানতে চান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও ডলার সংকট দূর করতে সরকার অতিরিক্ত কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয়; কালো টাকা নয়, বৈধ ও অঘোষিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেবে কি না?

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।

তিনি বলেন, 'শুধু কালো টাকাই নয়, গোটা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখার পরে মনে হচ্ছে, আমরা উন্নতির দিকে এগোচ্ছি। আরও কয়েকদিন পর পুরো একটা ছবি পাব। ততদিন পর্যন্ত দয়া করে ধৈর্য ধরুন।'

কুষ্টিয়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ৩৬ লাখ ৬২ হাজার মানুষ আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন।

আরেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হুছামউদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সারা দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৭০ হাজার।

'কিন্তু ৩৬ লাখ ৬২ হাজার রিটার্ন জমা দেওয়া হয়েছে এবং পাঁচ হাজার ৯০১ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে,' বলেন আলী।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ আলী জানান, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ৫৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

তার আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৪১ শতাংশ, জুনে ছিল নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'এ সময় রাজস্ব আদায় হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে আদায় হয়েছে এক হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। ঘাটতি ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।'

Comments

The Daily Star  | English
Exporters to get Tk 108.5 for a dollar from Aug 1

Taka gains against dollar after years

Taka gains ground as dollar influx rises, strengthening currency after years

36m ago